অবশ্যই আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে প্রাণে ধারণ করতে হবে

আফরোজা কণা। একাধারে উপস্থাপক, আবৃত্তিশিল্পী, লেখক ও শিক্ষক। আবার গানও করেন তিনি। সম্প্রতি দৈনিক উন্নয়ন বার্তাকে সংক্ষিপ্ত সাক্ষাতকার দেন। ৩০ জানুয়ারি আফরোজা কণার জন্মদিন। উন্নয়ন বার্তার পক্ষ থেকে অগ্রিম শুভেচ্ছা।

উন্নয়ন বার্তা : আপনিতো বহুমুখী সৃষ্টিশীল কাজের সাথে যুক্ত আছেন। এর মধ্যে কোন্ পরিচয়টি দিতে আপনি বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন?
আফরোজা কণা : আবৃত্তিশিল্পী ও উপস্থাপক।

উন্নয়ন বার্তা : আপনি পৃথিবীর বহু দেশ ভ্রমণ করেছেন। এসব দেশের কোন্ জিনিসটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে যা বাংলাদেশের সমাজে দেখতে চান?
আফরোজা কণা : দেশপ্রেম ও সময়ানুবর্তিতা।

উন্নয়ন বার্তা : আপনার লেখালেখির বিষয়বস্তু কি? ভবিষ্যতে আর কি কি বিষয় নিয়ে লিখতে চান?
আফরোজা কণা : প্রকৃতি ও মানবজীবন। স্বদেশ ও সংস্কৃতি।

উন্নয়ন বার্তা : আপনার সৃষ্টিশীল কাজের স্বীকৃতি ও পুরস্কারপ্রাপ্তি সম্পর্কে কিছু বলুন।
আফরোজা কণা : পুরস্কার তো অনেক পেয়েছি। তবে উল্লেখযোগ্য হলো: নির্ণয় গোল্ড মেডেল ‘পাথরের চোখে জল’ ছোটগল্পের জন্য।
সেরা উপস্থাপক-২০০৯ (মাপসাস থেকে)। বাংলাদেশ বেতারের সেরা উপস্থাপক ২০১৯। কবি জসীম উদ্দীন সাহিত্য সম্মাননা ২০২১।

উন্নয়ন বার্তা : আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির বিকাশে আপনার বিবেচনায় আরো কি কি করা যেতে পারে? নতুন প্রজন্মের কিশোর-কিশোরি ও তরুণ-তরুণীদের আমরা আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি চর্চায় আরো বেশি বেশি যুক্ত করতে কি কি পদক্ষেপ নিতে পারি?
আফরোজা কণা : আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে আরো বেশি পরিচর্যা করতে হবে। বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের নিজস্ব ঐতিহ্যের গুরুত্ব বোঝাতে বেশি বেশি অনুশীলনের প্রয়োজন। যতোই আমরা বিদেশী সংস্কৃতির দিকে ধাবিত হইনা কেনো অবশ্যই আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে প্রাণে ধারণ করতে হবে এবং হৃদয়ে লালন করতে হবে।

উন্নয়ন বার্তা : আপনার সৃষ্টিশীল কাজের ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?
আফরোজা কণা : আমি যেহেতু পেশায় শিক্ষক তাই ভবিষতে শিশুদের নিয়ে কাজ করতে চাই। শিশুরাই আগামী দিনের কর্ণধার। নতুন প্রজন্মকে সঠিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়তে চাই। তবেই দেশটা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় পরিণত হবে বলে আমার বিশ্বাস।