আগামী রোববার থেকে খুলনায় ইজিবাইকের লাইসেন্স বিতরণ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মহানগরী খুলনার সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কার্যক্রম শুরু করেছেন খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। এর অংশ হিসেবে নগরীতে ৭ হাজার ৮৯৩টি ইজিবাইক লাইসেন্স দেওয়ার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে নগর সংস্থাটি। রোববার (৪ অক্টোবর) থেকে লাইসেন্স বিতরণ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক লাইসেন্সগুলো দুই ভাগে দেওয়া হবে। খালিশপুর প্রভাতি স্কুলমাঠ এবং বয়রা বিভাগীয় কমিশনার মাঠ থেকে কেসিসি কর্তৃপক্ষ ইজিবাইকের লাইসেন্স বিতরণ করবেন।

কেসিসির মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ৪ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টায় লাইসেন্স বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।

কেসিসির সূত্রে জানা গেছে, টানা ২২ দিন নগরীর দুটি স্থানে ইজিবাইকের ৭ হাজার ৮৯৩টি লাইসেন্স বিতরণ করা হবে। ১ থেকে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য খালিশপুর এবং ১৭ থেকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য বয়রার মাঠে লাইসেন্স বিতরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ সময় ইজিবাইকের ডান পাশে দুইটি রড দ্বারা বন্ধ, ইজিবাইকের ফিটনেস এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। এর আগে নগরীতে যানজট নিরসন এবং ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেসিসি। ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইজিবাইকের লাইসেন্স ফরম বিক্রি ও আবেদন জমা নেওয়া হয়।

এ সময় লাইসেন্স ফি বাবদ ১০ হাজার টাকা এবং প্রতিবছর নবায়ন ফি ১ হাজার ৭০০ টাকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ নিয়মে ৮ হাজার ২২২টি ফরম বিক্রি হয়। পরবর্তী সময় যাচাই-বাছাই শেষে ৭ হাজার ৮৯৩টি ইজিবাইকের লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ইজিবাইক চালকদের কাছ থেকে পে-অর্ডার বাবদ ১০ হাজার টাকা নেওয়া শুরু হয়।

শনিবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন জানান, রোববার কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ইজিবাইকের লাইসেন্স বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।

এদিকে চার বছর পর নগরীতে ইজিবাইক চলাচলের লাইসেন্স দেওয়া শুরু হচ্ছে এমনই খবরে ইজিবাইক চালকদের মধ্যে বিরাজ করছে আনন্দ। এতে করে তারা যেমন বৈধ ইজিবাইকের মালিক হবেন তেমনি পুলিশ হয়রানি থেকে হবেন মুক্ত। বন্ধ হবে নগরীতে বহিরাগত ইজিবাইক প্রবেশ কার্যক্রম।