আজ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস : বাংলাদেশের বিরাট সংখ্যক মানুষ এখনো পুরোপুরি নিরক্ষর

প্রতিবছরই বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার বাড়ছে। এরপরও দেশের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ পুরোপুরি নিরক্ষর। যাদের বয়স ১৫ বছরের বেশি। বিরাট এই জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরজ্ঞান দিয়ে কবে নিরক্ষরমুক্ত দেশ গড়া সম্ভব হবে, তা সুনির্দিষ্ট করে কেউ বলতে পারছে না। অন্যদিকে করোনা সংক্রমণের কারণে এ বছর সাক্ষরজ্ঞান দেওয়ার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।

যারা মাতৃভাষায় পড়তে ও লিখতে পারে সাধারণত সাক্ষরজ্ঞান বলতে তা-ই বোঝায়। যারা মনের ভাব লেখায় প্রকাশ করতে পারে এবং দৈনন্দিন কাজের হিসাব-নিকাশ করতে পারে তাদেরকে আমরা সাক্ষর হিসেবে চিহ্নিত করি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালে দেশে সাক্ষরতার হার ছিল ৫৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশ। গত ১০ বছরে দেশে সাক্ষরতার হার বেড়েছে ১৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর কর্মকর্তারা বলছেন, নিরক্ষর মানুষকে সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন করে তুলতে দেশে এখন একটি প্রকল্প চলছে। এর আওতায় ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ৪৫ লাখ মানুষকে সাক্ষরজ্ঞান দেওয়া হচ্ছে।

জানা যায়, সপ্তম পঞ্চম বার্ষিক পরিকল্পনা (২০১৬-২০) করার সময় দেশে বয়স্ক নিরক্ষর জনগোষ্ঠী ছিল ৩ কোটি ২৫ লাখের মতো। গত কয়েক বছরে দেশে সাক্ষরতার হার বেড়েছে। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো হিসাব করে দেখেছে, এখনো দেশে ২ কোটি ২৫ লাখ মানুষ নিরক্ষর। এমন বাস্তবতায় আজ মঙ্গলবার পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস।