আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী

উন্নয়ন ডেস্ক –

শ্রমিক নেতা, শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার। ২০০৪ সালের ৭ মে নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এক সমাবেশে ঘাতকদের গুলিতে নিভে যায় এই বীর সন্তানের জীবন প্রদীপ।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ আহসান উল্লাহর পরিবার ছাড়াও জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগ, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার সঞ্চৃতি পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে কবর জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ, কোরআনখানি, কালো ব্যাজ ধারণ, মিলাদ মাহফিল, গণভোজ ও আলোচনাসভা।

আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, বাবার খুনিদের বিচার চাই। যারা বাবাকে দিনদুপুরে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে আমাকে পিতৃহারা করল তাদের ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, বাবার আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করছি। মানুষের পাশে থেকে এলাকার স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও মানুষকে সেবা করে যাচ্ছি। তেমনি আগামী দিনেও সবার সহযোগিতা নিয়ে এলাকায় উন্নয়নে কাজ করতে চাই।

শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছোট ভাই গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মতিউর রহমান মতি বলেন, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন সাদামাটা মনের মানুষ। ক্ষমতা বা আর্থিক লোভ কখনোই তার ছিল না। সব সময় ছিল কর্মীবান্ধব নেতা। তিনি বেঁচে থাকাকালীন সময় যত আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে সেই সব আন্দোলন-সংগ্রামে নেতাকর্মীদের গায়ে একটু আঁচড়ও লাগতে দেননি তিনি। গাজীপুরবাসী অতিদ্রুত আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার রায় কার্যকরের দাবি জানায়।

আহসান উল্লাহ মাস্টার গাজীপুর-২ আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দুই দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য, শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন।