আন্তর্জাতিক ডেস্ক :‘মহামারীজনিত অবসাদ’ ও নতুন সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ইউরোপীয় দেশগুলোকে বায়োমেডিকেল সায়েন্সের বাইরে গিয়ে কভিড-১৯ মহামারী থেকে উদ্ধারের উপায় খুঁজতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপীয় ডিরেক্টর হান্স ক্লুগ বলেছেন, কয়েক মাসের অনিশ্চয়তা এবং বিধ্বস্ত অবস্থাকে একেক দেশ একেকভাবে পরিমাপ করেছে।অঞ্চলজুড়ে সার্ভে ডাটাগুলো জড়ো করে দেখা গেছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটা ৬০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
এ সময় তিনি সতর্ক করে আরো বলেন, এককভাবে চিকিৎসাবিজ্ঞানের পক্ষে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয় কর্তৃপক্ষগুলোকে সাহস ও সহমর্মিতার সঙ্গে মানুষের কথা শুনতে হবে এবং জনগণের প্রয়োজন ও আচরণ অনুযায়ী নীতিমালাগুলোর বিকাশ ও প্রয়োগ করতে হবে।
ক্লুগ বলেন, প্রতিক্রিয়া জানানোর দিক থেকে কভিড-১৯ আমাদের কেবল চিকিৎসাবিজ্ঞানের ওপর নির্ভরতা থেকে বের হওয়ার কথা বলছে আচরণগত দিক থেকে আমাদের সামনে সুযোগ আছে আমাদের সম্প্রদায়গত অন্তর্দৃষ্টির সর্বোচ্চ ব্যবহার করার, যাতে জনস্বাস্থ্যনীতিতে সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণকে একীভূত করা যায়।
তার মতে, এ ‘প্যানডেমিক ফ্যাটিগ’ অবশ্য প্রত্যাশিত ছিল। তিনি বলেন, কভিড-১৯-এর সংক্রমণকে রুখতে জনগণ ব্যাপক আত্মনিবেদন দেখিয়েছে, যার ফলে একপর্যায়ে আমাদের সবার ওপর ক্লান্তি ভর করেছে।
এদিকে ইউরোপের অনেক জায়গায় সংক্রমণের হার কমে আসার পর আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে।এ পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্তো স্পেরানজা বলেন, সরকার মাস্ক বাধ্যতামূলক করার কথা বিবেচনা করছে। তিনি বলেন, যুদ্ধ এখনো জেতা হয়নি। আমাদের সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখতে হবে আসন্ন সপ্তাহ ও মাসগুলোতে।