উন্নয়ন ডেস্ক –
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন আবারও বলেছেন, এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মিত্র এবং অংশীদারদের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। তাইওয়ানের চারপাশে চীন ‘উসকানিমূলক এবং অস্থিতিশীল’ সামরিক তৎপরতা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
তিনি আরো অভিযোগ করেছেন, তাইওয়ানের চারপাশে চীন ‘জবরদস্তিমূলক এবং আক্রমণাত্মক’ কার্যকলাপ বাড়িয়ে তুলেছে।
চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল যুক্তরাষ্ট্র।
এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে অংশীদারিত্ব বজায় রেখে কাজ করবে ওয়াশিংটন।
তিনি এর আগে বলেছেন, তাইওয়ানের বিষয়ে মার্কিন নীতি হলো- একটি স্ব-শাসিত দ্বীপ। তবে বেইজিং তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে।
লয়েড অস্টিন বলেছেন, ‘আমাদের নীতি পরিবর্তন হয়নি। পিআরসি (পিপলস রিপাবলিক অব চায়না) যে পদক্ষেপগুলো নিচ্ছে, তা শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে ক্ষুণ্ন করার হুমকি দিচ্ছে। এটা শুধু মার্কিন স্বার্থ নয়, এটা আন্তর্জাতিক উদ্বেগের বিষয়। ‘
এদিকে তাইওয়ান স্বাধীনতার ঘোষণা দিলে যুদ্ধ শুরু করতে বেইজিং দ্বিধা করবে না বলে মন্তব্য করেছেন চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী উই ফেংয়ে স্পষ্ট করে বলেছেন, যদি কেউ তাইওয়ানকে চীন থেকে আলাদা হওয়ার সাহস দেখায়, তাহলে চীনের সামরিক বাহিনী যুদ্ধ শুরু করতে দ্বিধা করবে না। যুদ্ধের মূল্য যাইহোক না কেন, চীন বিচলিত হবে না।
চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, তাইওয়ানের স্বাধীনতা অর্জনের যেকোনো চক্রান্তকে নস্যাৎ করে দেবে বেইজিং এবং মাতৃভূমির একত্রীকরণে দৃঢ়ভাবে কাজ করবে।
তিনি আরো বলেন, তাইওয়ান চীনের… তাইওয়ানকে ব্যবহার করে চীনকে বেকায়দায় ফেলার চক্রান্ত কখনোই সফল হবে না।
এসময় মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, বেইজিংকে অবশ্যই তাইওয়ানের প্রতি অস্থিতিশীল পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
সূত্র: আল-জাজিরা।