আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জাতিসংঘ বলেছে, করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বে চাকরী হারাতে বসেছে প্রায় আড়াই কোটির মতো মানুষ।
মহামারি করোনা (কোভিড-১৯) গোটা বিশ্বে প্রায় নয় হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রাণঘাতী ভাইরাসটির থাবায় বিশ্বব্যাপী কর্ম হারাতে যাচ্ছেন আড়াই কোটি মানুষ বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
ইরানি বার্তা সংস্থা পার্স টুডে জানায়, বুধবার (১৮ মার্চ) বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর করোনা ভাইরাসের প্রভাব মূল্যায়ন করতে গিয়ে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম বিভাগ (আইএলও) একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের প্রভাবে গোটা বিশ্বের প্রায় আড়াই কোটির অধিক লোক নিজেদের কর্মসংস্থান হারাতে পারেন।
আইএলও জানিয়েছে, করোনা ভাইরাস আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দা ২০০৮ সালের পরিস্থিতিকেও ছাড়িয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে প্রতিটি দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ বেকার হয়ে যাবেন এবং শ্রমজীবী শ্রেণির লোকের আয় মারাত্মকভাবে হ্রাস পাবে।
মূলত এসব কারণে পরিস্থিতিটি মোকাবিলায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিটি রাষ্ট্রকে এখনই যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, উৎপত্তিস্থল চীনের সীমা অতিক্রম করে এর মধ্যে বিশ্বের অন্তত ১৭৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। বিশ্বব্যাপী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২ লাখ ১৯ হাজার মানুষ। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও এরই মধ্যে ৮ হাজার ৯৬৭ জনে পৌঁছেছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লুর মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো- শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। তাছাড়া শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।
বর্তমানে সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা। তাই মানুষের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। #