করোনা শনাক্তের কিট আবিস্কারে ডা. জাফরুল্লাহর অসামান্য কৃতিত্ব

হেলথ ডেস্ক:
সস্তায় করোনা শনাক্ত করার কিট আবিষ্কারে ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মালিকাধীন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র অসামান্য কৃতিত্ব ও সাফল্য দেখাতে সক্ষম হয়েছে। যা গোটা বাংলাদেশের অর্জন বলে মনে করছেন দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এই মুহুর্তে কিট আবিস্কার দেশবাসির খুবই উপকারে আসবে।
গণস্বাস্থ্যের অঙ্গসংগঠন বায়োটেকের একদল কর্মী করোনা শনাক্ত করার এই কিট তৈরি করেছেন। তাদের আবিষ্কৃত কিটটি তৈরি করতে খরচ পড়েছে মাত্র ২০০ টাকা।
১৭ মার্চ মঙ্গলবার রাতে কিট তৈরীর খবরটি নিশ্চিত করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সরকারের অনুমতি পেলে আমরা একমাসের মধ্যে ব্যাপক আকারে কিটটি বাজারে ছাড়তে পারব।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে করোনা শনাক্তের কিট আছে মাত্র ১৭৩২টি। কিটের অভাবে দেশে ব্যাপকভাবে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে আজই চীনের কাছে দশ হাজার করোনা টেস্টিং কিট চেয়েছে সরকার। কিটের পাশাপাশি দশ হাজার হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানারও চাওয়া হয়েছে।

আইইডিসিআরের কাছে এ ভাইরাস পরীক্ষার কীট ছিল মাত্র ২ হাজার পিস। ইতোমধ্যে খরচ হয়েছে ৩শর মতো। সরকার চীনের কাছে ২০ হাজার পিস কীট চেয়েছে। কবে পাওয়া যাবে তা নিশ্চিত নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা চীনের সরবরাহ করা কীট ব্যয়বহুল এবং তা দিয়ে পরীক্ষার জন্যও প্রয়োজন উন্নত ল্যাবরেটরির। এই পরিস্থিতিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই উদ্ভাবন বাংলাদেশের জন্য যুগান্তকারী ঘটনা।

করোনাভাইরাস মোকাবেলার প্রথম সোপান হলো লাখ লাখ মানুষের পরীক্ষা করা। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত নতুন কীট দিয়ে এখন যেকোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে মাত্র ৩শ টাকায় তা পরীক্ষা করা সম্ভব।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন মিললে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে উৎপাদনে যেতে পারবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। প্রতি মাসে ১ লাখ পিস কীট উৎপাদনের সক্ষমতা আছে তাদের। ডা. জাফরুল্লাহ জানান, মাত্র ২শ টাকায় তারা এই কীট সরবরাহ করতে পারবে। #