উন্নয়ণ ডেস্ক –
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে কোনোভাবেই খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা নেই। এখন পুরোনো চালের শেষ সময় এবং নতুন চালের আগমনের সন্ধিক্ষণ। খুব শিগগির চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে। গম নিয়েও কোনো চিন্তা করছি না। কারণ, প্রতিবেশী দেশ ভারত গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী যখন এমন বলছেন, তখন বাস্তবতা দিচ্ছে ভিন্ন চিত্র। বোরো মৌসুমে যেখানে চালের দাম কমার কথা, সেখানে বেড়েই চলছে এ নিত্যপণ্যটির দাম। আড়ত ও খুচরা বাজারে চাল বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম কেজিপ্রতি বেড়ে গেছে দুই থেকে চার টাকা। গমের মজুতও তলানিতে। গত বছর এ সময় গমের মজুত ছিল ২ লাখ ৮৫ হাজার টন। এ বছর গমের মজুত আছে মাত্র ১ লাখ ৬ হাজার টন।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. আসাদুজ্জামান মিডিয়াকে বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন, দেশে খাদ্যশস্যের কোনো ঘাটতি হবে না। গম নিয়েও কোনো চিন্তা নেই। চলমান সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে। কিন্তু কীভাবে সমাধান হবে- এ বিষয়ে পরিস্কার কিছু বলছেন না। সরকারের মধ্যে ধোঁয়াশা থাকলে চালের দাম আরও বাড়বে। এ জন্য সরকারকে খোলাসা করে কথা বলতে হবে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন মজুমদার বলেন, অটো রাইস মিল মালিকরা ধান কিনছেন। কিন্তু তাঁরা উৎপাদনে যাননি। যে ধান দু’দিনে শুকাত, বৃষ্টির জন্য সেটা পাঁচ থেকে সাত দিন লাগছে। ফলে চালের দাম বেড়েছে। এ অবস্থায় দাম নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। চিন্তার কিছু নেই। জোগান কম নেই। কোনোভাবেই দেশে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা নেই।
সাধন মজুমদার বলেন. ভারত গম রপ্তানি বন্ধ করলেও সরকারি পর্যায়ে আমদানিতে কোনো সমস্যা হবে না। খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হলে বেসরকারি পর্যায়ে আমদানিতেও কোনো সমস্যা হবে না।
গম রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত প্রতিবেশী দেশের জন্য কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। সরকারিভাবে আমরা তাদের চিঠিও দিয়েছি। গম নিয়ে চিন্তা করছি না। বেসরকারিভাবে যারা আমদানি করবে, তাদেরও সমস্যা হবে না। সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে ভারত অনুমতি দেবে। বিশ্বে খাদ্য সমস্যা আছে। তবে কৃষিপ্রধান দেশ বলেই ধান-চালে আমাদের সমস্যা নেই। গম যতটুকু লাগবে, আমরা আমদানি করে নিতে পারব।
যুদ্ধের কারণে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে গম আমদানি বন্ধ হয়েছে আগেই। ভারত রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর দেশের বাজারে গমের দামের সঙ্গে আটা ও ময়দার দর লাফিয়ে বাড়ছে।