উন্নয়ন ডেস্ক –
দিনাজপুরে বেশি দামের আশায় চিনিগুঁড়া চালে বাসমতি চালের ফ্লেভার মিশিয়ে বিক্রি করা হতো, ক্রেতাদের দেওয়া হতো ধোকা।
আবার গোখাদ্যেও মেশানো হতো ক্ষতিকর ইউরিয়া সার।
তবে চোরের ১০ দিন, গেরস্তের একদিন বলে একটা কথা তো রয়েছেই। অবশেষে ধরা পড়ে জরিমানা গুণতে হয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীদের।
মঙ্গলবার (৩১ মে) দুপুরে দিনাজপুর শহরের পুলহাটে মেসার্স ফরহাদ ট্রেডার্স ও সুফলা রাইস মিলে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় দুই প্রতিষ্ঠানের মালিককে মোট দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন। এসময় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে তিনি জানান, দুপুরে পুলহাট এলাকায় মেসার্স ফরহাদ ট্রেডার্সে অভিযান চালানো হয়। সেখানে রাইস ব্রান ও গবাদিপশুর খাদ্যে ইউরিয়া মিশিয়ে প্রক্রিয়া করা হচ্ছিল। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স দেখতে চাওয়া হলে তারা দেখাতে পারেননি। ফলে মেসার্স ফরহাদ ট্রেডার্সের মালিক ফরহাদ হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে একই এলাকার সুফলা রাইস মিলে অভিযান চালানো হয়। অনেক দিন ধরে মিলে চিনিগুঁড়া চালের সঙ্গে অনুমোদনহীন বাসমতি ফ্লেভারযুক্ত পাউডার মিশিয়ে সুগন্ধী চাল হিসেবে প্রক্রিয়া ও বিক্রি করা হচ্ছিল। অভিযানে গিয়ে এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানের মালিক মশিউর রহমানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।