চীন থেকে দেশে ফিরেছে ৩১২ নাগরিক

উন্নয়ন বার্তা রিপোর্ট:
চীন থেকে দেশে ফিরেছে ৩১২ জন করোনাভাইরাস রোগী। চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে অবস্থান করছিলেন তারা। যে ৩১২ জন আজ এসেছেন, তাদের মধ্যে ২৯০ জন পুরুষ, ১০ জন নারী, বাকি ১২টি শিশু রয়েছে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।
ফেরত আসাদের মধ্যে সাত জনকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও একজনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের আশকোনা হজ্জ ক্যাম্পে স্থাপিত ‘কোয়ারেনটাইন ইউনিটে’ নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, রোগীদের আগামী ১৪ দিন সেখানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্র থেকে জানা যায় যে, উহান শহরের তিয়ানহি ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দর থেকে শনিবার ভোর পৌনে ১০টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল পৌনে ৮টায়) ৩১২ জন বাংলাদেশিকে নিয়ে বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইট রওনা দিয়ে সকাল ১১টা ৫৩ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
বিমানবন্দরে ‘হেলথ স্ক্রিনিং’য়ের পর আট বাংলাদেশিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় হাসপাতালে। বাকি ৩০৪ জনকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তত্ত্বাবধানে আশকোনা হজ ক্যাম্পে সদ্য স্থাপিত আইসোলেশন ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়।
দেশে ফেরার কথা থাকলেও শরীরে অরিতিক্ত জ্বর থাকায় দু’জন বাংলাদেশীকে চীনেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানান, আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুশতাক হোসেন।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীন প্রথম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানায়, দেশটির উহান শহরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। ধীরে ধীরে গোটা চীনেই ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের ২০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। চীনে এ পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৫৯ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে করোনাভাইরাস নিয়ে জরুরি অবস্থাও জারি করা হয় সেখানে।
চীনে ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা দেশটিতে কার্যত ‘বন্দি’ হয়ে পড়েন। চীনের শহরগুলোর মধ্যে কেবল উহানেই অবস্থান করছিলেন তিন শতাধিক বাংলাদেশি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়। #