উন্নয়ন ডেস্ক –
আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে বিদেশ থেকে মালামাল আমদানির প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎকারী চক্রের সদস্যরা
ইকোম্যাক্স নামের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যবসার নামে অফিস ভাড়া করে দামি ফার্নিচার দিয়ে ভুয়া প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে একটি চক্র। খুব অল্প সময়ে ও কম খরচে চীন থেকে গ্রাহকদের চাহিদা মোতবেক যেকোনো পণ্য সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৫০ শতাংশ টাকা অগ্রিম গ্রহণ করতো চক্রটি। কিছুদিন পর চট্টগ্রাম পোর্টে মালামাল পৌঁছে যাওয়ার কথা বলে আরও ২০ শতাংশ টাকা নিয়ে নিতো। পরে বিভিন্ন সমস্যার অজুহাত দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা সংগ্রহ করে অফিস ও মোবাইল বন্ধ করে পালিয়ে যেত চক্রটি। এভাবে ৩৫ জন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা আত্মসাৎকরেছে চক্রটি।
আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে বিদেশ থেকে মালামাল আমদানির প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎকারী ওই চক্রের মূলহোতাসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেফতাররা হলেন- ইকোম্যাক্স কার্গোর চেয়ারম্যান আরাফাত হোসাইন (৪০) ও অর্থ পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন (৪২)।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন
বুধবার (২৫ মে) দুপুরে মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন।
তিনি বলেন, সিআইডির কাছে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করলে বিষয়টি অনুসন্ধান করে সত্যতা পাওয়া যায়। সিআইডির ঢাকা মেট্রো-পশ্চিমের একটি টিম এএসপি মো. জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে মঙ্গলবার (২৪ মে) রাতে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন বলেন, গ্রাহকের আস্থা অর্জনের জন্য চক্রটি চুক্তিপত্র করতো। তাদের প্রতিশ্রুত পণ্যের মধ্যে ছিল- গার্মেন্টস এক্সেসরিজ, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ, মেডিকেল সরঞ্জাম, বাইক, কাপড়, সিলিকাজেল, লোগো ইত্যাদি।
তিনি বলেন, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অফিস ভাড়া করে দামি ফার্নিচার দিয়ে একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে ইকোম্যাক্স নামের ওই প্রতিষ্ঠান। তারা তাদের ভাড়া করা মার্কেটিং অফিসারদের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে যার যেমন পণ্য প্রয়োজন তা চীন থেকে নিয়ে আসার প্রস্তাব দিতেন। পরে বিভিন্ন সমস্যার অজুহাত দেখিয়ে সময়ক্ষেপণ করে মোটা অংকের টাকা সংগ্রহ করে অফিস ও মোবাইল বন্ধ করে পালিয়ে যেতেন তারা।
চক্রের এক সদস্য একসময় চীনে পড়ালেখা করতেন বলে জানা যায়। আরেক সদস্য চীন থেকে মেডিকেল সরঞ্জাম কেনার জন্য যাতায়াত করতেন। এতদিন ধরে চক্রটি ৩৫ জন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন তারা।