চুমুকাণ্ডে স্পেন ফুটবল ফেডারেশন থেকে পদত্যাগ করতে হতে পারে লুইস রুবিয়ালেসকে

বিশ্বকাপ জয়ের পর তিনি নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি নাকি সুযোগ পেয়ে তার সদ্ব্যবহার করেছেন- এ নিয়ে এখন ফুটবল বিশ্ব সরগরম। স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান লুইস রুবিয়ালেস বিশ্বকাপজয়ী নারী ফুটবলার জেনি হারমোসোর ঠোটে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়ে বসেন। এখন এই চুমু কাণ্ডেই স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের পদ থেকে পদত্যাগ করতে হতে পারে তাকে।

এরই মধ্যে একবার লুইস রুবিয়ালেসের পদত্যাগের গুঞ্জনও ভেসে আসতে শুরু করে। কিন্তু চারদিকে ভেসে বেড়ানো গুঞ্জনের মাঝেই র‌য়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করতে রাজি নন।

শুক্রবার সারাদিনই গুঞ্জন ভেসে বেড়িয়েছে, রুবিয়ালেস পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। কিন্তু বিকেলের পর নিজেই আবার ডিগবাজি খেলেন স্পেন ফুটবলের প্রধান এবং পদত্যাগের কথা অস্বীকার করেন।

শুক্রবার ফুটবল ফেডারেশনের বৈঠকে রুবিয়ালেস বারবার বলেন, ‘আমি পদত্যাগ করবো না। সামাজিক ভাবে আমাকে খুন করা হচ্ছে।’

গত রোববার বিশ্বকাপ ফাইনালের পরই চুমু-বিতর্ক ঘটে। সোমবার ওই ঘটনার জন্য ফিফার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন রুবিয়ালেস। কিন্তু তা গ্রহণ করেনি ফিফা। বৃহস্পতিবার রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে ফিফা।

গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে, ফিফা তদন্ত শুরুর ঘোষণা দেয়ার পরই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন রুবিয়ালেস। শুধু জেনি হারমোসোকে চুমু দেয়ার কারণেই নয়, স্পেনের বিজয়ের মুহূর্তে স্প্যানিশ রাণী এবং তার ১৬ বছরের মেয়েরা সামনে নিজের গোপনাঙ্গ ধরে বাজেভাবে অঙ্গভঙ্গি করেন রুবিয়ালেস। এমন বাজে কাজের জন্যও তদন্তের মুখোমুখি তিনি।

স্পেন ফুটবল প্রধানের দাবি হারমোসোর অনুমতি নিয়েই তাকে চুমু দিয়েছিলেন তিনি। রুবিয়ালেস বলেন, ‘হারমোসো পেনাল্টি মিস করেছিলো। তাই আমি ওকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলাম। বলছিলাম ভুলে যাও পেনাল্টির কথা। জিজ্ঞেস করেছিলাম তাকে আমি চুম্বন করতে পারি কি না। ও রাজি ছিল। হঠাৎ করেই হয়েছিল পুরো ঘটনাটা। তবে সম্মতি নিয়েই হয়েছিল। এরপরও আমাকে ফাঁসানো হবে? আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব।’

যদিও হারমোসো ওই সময় জানিয়েছিলেন যে, রুবিয়ালেস তাকে চুম্বন করায় তিনি বিরক্ত। শুধু হারমোসোকে চুমু খাওয়াই নয়, রুবিয়ালেস নিজের যৌনাঙ্গ ধরে বাজে অঙ্গভঙ্গি করেও বিশ্বকাপ জয় উদ্‌যাপন করেছিলেন। যার জন্য শুক্রবার ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ওইদিন রুবিয়ালেসের খুব কাছে দাঁড়িয়েছিলেন স্পেনের রানি এবং তার ১৬ বছরের মেয়ে। রুবিয়ালেস বলেন, ‘ভিআইপি বক্সের মধ্যে যে কাজ আমি করেছিলাম, সেটার জন্য কোনও শর্ত ছাড়া ক্ষমা চাইছি। রানি এবং বাকি যারা ওই ঘটনায় বিরক্ত হয়েছেন, আমি সকলের কাছে ক্ষমা চাইছি। অনেক ম্যাচ আমি বক্স থেকে দেখেছি, কিন্তু কখনও এমন কাজ করিনি।’