তাঁতী সমিতির নামে রং সুতা আমদানির অন্তরালে ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগ – পর্ব-১

উন্নয়ন ডেস্ক –

নারায়নগঞ্জ প্রতিনিধি : বর্তমান সরকার গরীব ও অসহায় তাঁতীদের আর্থিক ভাবে সাবলম্বী করে তোলার লক্ষ্যে তাঁতী সমিতি মাধ্যমে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের সুপারিশ ক্রমে এস আর ও সুবিধায় রং, সুতা ও কেমিক্যাল আমদানির সুযোগ দেয়। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কতিপয় অসাধু দূর্নীতি পরায়ন ব্যক্তি তাঁতীদের লাইসেন্স ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে তাঁত সেক্টরে লুটপাট করে যাচ্ছে। এই চক্রটি গড়ে উঠেছে নারায়নগঞ্জের টান-বাজার এলাকায়। রীতিমতো এখানে অফিস খুলে ব্যবসা করে যাচ্ছে, অথচ সরকারের দেওয়া শর্ত মোতাবেক আমদানিকৃত রং, সুতা ও কেমিক্যাল তাঁতী সমিতির গোডাউনে যাওয়ার কথা অথচ তা না করে অসাধু চক্রটি ন্যাশনাল ব্যাংক টান-বাজার শাখার সহযোগিতায় রং, সুতা ও কেমিক্যাল গুলো সরাসরি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। টান-বাজারের ছাত্তার হাজী, বেনজীর আহমেদসহ আরো কতিপয় ব্যক্তির সমন্ময়ে গঠিত চক্রটি অফিস করে এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাঁতী সমিতির বড় মাপের তিন-চার জন লাইসেন্সধারী ব্যক্তি এবং মাঝারি মাপের কয়েকজন ৬% আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে লাইসেন্স এর বিপরীতে আমদানীকৃত মালামালগুলো কেনাবেচা করে থাকে। আমদানীকৃত মালামাল চিটাগাং পোর্ট-এ আসার সাথে সাথেই পার্মিটগুলো বেচাকেনা করা হয়। মাঠ পর্যায়ে ভ্যাট অফিসারদের দূর্বল মনিটরিং-এর কারনে অসাধু তাঁতী সমিতিগুলো এই সুযোগ নিচ্ছে। আমাদের প্রতিনিধি, চিটাগাং কাস্টমস্ হাউসে খোঁজ নিয়ে দেখেছে প্রতিদিন চার-পাঁচটি সমিতির মালামাল ডেলিভারি হচ্ছে। আমাদের প্রতিনিধি চিটাগাং কাষ্টমস্ কর্মকর্তাকে বলেন এধরনের কর্মকান্ড তো পুকুর চুরির সমতুল্য। তার উত্তরে কাষ্টমস্ কর্মকর্তারা বলেন এটা বিস্তারিত পত্রিকায় রিপোর্ট করেন, এন বি আর কে জানান, প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন, সমাধান পেয়ে যাবেন। সরকার যখন করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় নানা পদক্ষেপ নিয়ে আর্থিক সমস্যা সমাধানে ব্যস্ত, ঠিক সেই সময় দূর্নীতিপরায়ন কতিপয় ব্যক্তি শত শত কোটি টাকা লুটপাটে ব্যস্ত আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যক্তি জানান চিটাগাং কাষ্টমস্ হাউসে তাঁতী সমিতির নামে আমদানীকৃত সমস্ত মালামাল ডেলিভারি বন্ধ রেখে শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার রহস্য উৎঘাটন করা উচিত। এই শুল্ক ফাঁকি চক্রের সাথে ব্যাংক, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগন জড়িত। এ বিষয়টি এন বি আর কর্মকর্তাগন আমলে নিলে এই কর ফাঁকি ও দূর্নীতির রহস্য বেড়িয়ে আসবে। নারায়নগঞ্জের টান-বাজারে এই চক্রের সাথে জড়িত ছাত্তার হাজী এবং বেনজীর আহমেদ এর সাথে যোগাযোগ করলে জানান তারা এই ধরনের কর্মকান্ডের সাথে জড়িত নন অথচ আমাদের প্রতিনিধি এই ঘটনা তদন্ত করে তাদের কর ফাঁকি ও দূর্নীতির অভিযোগের সততা খুজে পান। তারা আরো জানান আমদানীকৃত রং, সুতা ও কেমিক্যাল তাঁতীদের কল্যাণে ব্যবহৃত নিশ্চিত করার জন্য তাঁত বোর্ড ও এন বি আর-এর ব্যাপক নজরদারী এবং জড়িত দূর্নীতিবাজদের শাস্থির আওতায় আনলে এই ধরনের লুটপাট বন্ধ হয়ে যাবে।