ত্রিপুরায় রামবুটান চাষে সাফল্য

উন্নয়ন ডেস্ক –

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা রাজ্যে রামবুটান ফল চাষে প্রাথমিক সাফল্য এসেছে। রাজ্য সরকারের অন্তর্গত উদ্যান ও মৃত্তিকা সংরক্ষণ বিভাগ পরিচালিত উদ্যান এবং ফল গবেষণা কেন্দ্রের গাছগুলিতে এবছর প্রথমবারের মতো রামবুটানের ফল এসেছে।

আগরতলার পার্শ্ববর্তী নাগিছড়া এলাকার এই গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান ডেপুটি ডিরেক্টর ড. রাজীব ঘোষ এই বিষয়ে মিডিয়াকে বলেন, প্রায় ৮ বছর আগে চারাগুলো ভিন রাজ্য থেকে এনে গবেষণা কেন্দ্রের ফল বাগিচায় লাগানো হয়েছিল। বর্তমানে মোট ১০টি গাছ রয়েছে, কিন্তু এতো বছর গাছগুলোতে মুকুল আসেনি। এবছর প্রথমবারের মতো গাছগুলোতে মুকুল ফল এসেছে আরও কিছুদিন পর ফলগুলো পরিপক্ব হবে বলে আশা করা যায়। বেশ কয়েক বছরের চেষ্টায় ফল ধরেছে তাই দপ্তর এটিকে প্রাথমিক সাফল্য বলছে। সেই সঙ্গে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস এসেছে এখানেও মাটিতেও রামবুটানের ফলন হবে।

ড: রাজীব ঘোষ আরও বলেন, ভারতের কেরলা, তামিলনাড়ু রাজ্যে এই ফলের ব্যাপক চাষ হচ্ছে। এই ফল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার ফুট উঁচুতেও চাষ করা সম্ভব। এগুলোর পুরুষ এবং স্ত্রী গাছ থাকে। সঠিক ভাবে পরিচর্যা না করতে পারার জন্য এতো দিন মুকুল আসেনি বলে ধারণা করো হচ্ছে। তবে এখন পরিচর্যার বিষয়টি তাদের আয়ত্তে চলে এসেছে।

কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের নীতিমালা অনুসারে নতুন কোন ফল বা সবজি প্রথম তিন বছর পরিক্ষামূলকভাবে চাষ করে তথ্য সংগ্রহ করেন এবং এ তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করে ফলন, বাণিজ্যিক লাভের বিষয় পর্যালোচনা করে কৃষকদের চাষের জন্য প্রশিক্ষণ এবং সহযোগিতা দেওয়া হয়। রামবুটানের ক্ষেত্রেও এ নীতি অনুসরণ করা হবে। তাই এখন গাছ ও ফলগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, রামবুটানে দেখতে লিচুর মতো হলেও লিচুর তুলনায় এগুলোর আকার কিছুটা বড় হয়ে থাকে এবং ফলগুলোর গায়ে ও বাইরের দিকে প্রচুর চুলের মত আশ থাকায় এদের হেয়ারি লিচিও বলা হয়। কৃষকদের বাড়তি আয় এবং পুষ্টি নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে দপ্তরগুলো পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করছে। এ ফল চাষে এক একর জমি থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব বলেও জানান তিনি।

কৃষকরা এখন নতুন নতুন ফল সবজি চাষের প্রতি বেশি আগ্রহী, কারণ বাজারে নতুন নতুন ফল সবজি অপেক্ষাকৃত বেশি দামে বিক্রি হয়। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে রামবুটান চাষে সাফল্য এসেছে। তাই ত্রিপুরাতেও এই ফল চাষে সাফল্য আসবে কারণ এ দুই রাজ্যের আবহাওয়া একই রকম বলে জানান তিনি।