জুলাই ২৭, ২০২৪

আমাদের সম্পর্কে আরো জানুনঃ

সাগরে মুখোমুখি চীন-যুক্তরাষ্ট্র!

উন্নয়ন ডেস্ক –

দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে প্রায় মুখোমুখি অবস্থানে বিশ্বের অন্যতম দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। চীনের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ওই এলাকায় মার্কিন রণতরি ইউএসএস কার্ল ভিনসন ও অন্যান্য সহযোগী যুদ্ধজাহাজ টহল শুরু করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই টহলকে ‘নিয়মিত অভিযানের’ অংশ বলা হচ্ছে। এর আগে বুধবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, দক্ষিণ চীন সাগরে অন্য কারও উপস্থিতি হবে চীনের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ জানানো। আর এ কাজ থেকে বিরত থাকতে বেইজিং হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ওয়াশিংটনকে।

মালিকানা নিয়ে বিতর্ক থাকা দক্ষিণ চীন সাগরের একটি বড় অংশ নিজের বলে দাবি করে আসছে চীন। এ ছাড়া কয়েক বছর ধরে দক্ষিণ চীন সাগরে কৃত্রিম একটি দ্বীপ তৈরি করছে দেশটি।
মার্কিন ওই রণতরি ইউএসএস কার্ল ভিনসনকে দক্ষিণ চীনে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল দুই বছর আগে, মালয়েশিয়ার নৌ ও বিমানবাহিনীর সঙ্গে মহড়ার সময়। গত ৩৫ বছরে এই অঞ্চলে ১৬ বার এসেছে রণতরি কার্ল ভিনসন।

মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব জেমস ম্যাথিস সম্প্রতি জাপান সফরে এসে বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন এই পর্যায়ে নাটকীয় সামরিক পদক্ষেপের কোনো প্রয়োজনীয়তার কথা ভাবছে না।
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছিলেন, বিরোধপূর্ণ দ্বীপগুলোতে চীনের দখল অবশ্যই ঠেকাতে হবে।

দক্ষিণ ও পূর্ব চীন সাগরের অধিকাংশ অঞ্চল নিজের বলে দাবি করে চীন। সেখানকার একাধিক দ্বীপের মালিকানা নিয়ে ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, ব্রুনেই, মালয়েশিয়া ও তাইওয়ানসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। তাই খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ ওই এলাকায় বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা বাড়ছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Pinterest
Reddit