দীর্ঘস্থায়ী বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিন: প্রধানমন্ত্রী

উন্নয়ন ডেস্ক –

আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস অনুসারে যেকোনো সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদি বন্যা মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম গতকাল বিকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। খবর বাসস।

বৈঠকে খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে রোপা আমন (টি-আমান) উৎপাদনে বিশেষ যত্ন নিতেও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার বৈঠকে চলমান বন্যার কারণে আমনের বীজ নষ্ট হওয়ায় আমাদের রোপা আমনের (টি-আমান) উৎপাদনে বিশেষ যত্ন নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আমন বীজ নষ্ট হওয়ায় তুলনামূলক উঁচু স্থানে জল সহনশীল ধানের জাত রোপণ করতে বলেছেন। এ লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় বিশাল বরাদ্দ পেয়েছে।’

পদ্মা ও যমুনার মতো প্রধান নদীর পানির স্তর কয়েক দিন ধরে কমতে থাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পুনর্বাসনকাজ দ্রুত করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। এ লক্ষ্যে গৃহীত পুনর্বাসন কর্মসূচি তিন ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানান তিনি।

ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ বা মেরামত করার জন্য এলজিআরডি মন্ত্রণালয়কে এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো মেরামত করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে সচিব বলেন, এ লক্ষ্যে বিশাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে ‘বাংলাদেশ ফিল্ম আর্টিস্ট ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট আইন-২০২০’-এর খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন করা হয়েছে। এছাড়া মন্ত্রিসভায় দ্বৈত কর পরিহার এবং কর-রাজস্ব ফাঁকি রোধ করার জন্য মালদ্বীপ ও চেক রিপাবলিকের সঙ্গে স্বাক্ষরের জন্য প্রণীত দুটি কর চুক্তির খসড়াও অনুমোদন করা হয় এবং সৌদি আরব ও নেপালের সঙ্গে স্বাক্ষরের জন্য প্রণীত আরো দুটি সরকারি পর্যায়ের চুক্তির খসড়ার বিষয়ে সম্মতি দেয়া হয়। চুক্তি দুটি হচ্ছে সৌদি আরবের সঙ্গে কাস্টমস বিষয়ে ‘সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা’ এবং নেপালের সঙ্গে ‘অ্যাডেনডাম টু দ্য প্রটোকল টু দ্য ট্রানজিট এগ্রিমেন্ট’।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে এবং তাদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ আইনের খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা।

প্রস্তাবিত আইনে কোনো শিল্পীর মৃত্যু হলে তার ওপর নির্ভরশীলদের সহায়তা দিতে এবং অন্যান্য কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এজন্য তথ্যমন্ত্রীকে চেয়ারম্যান করে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হবে। ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান তাদের নিজস্ব অর্থ ও সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ দ্বারা এর কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

খসড়া আইন অনুযায়ী, ট্রাস্টে একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকবেন যিনি ট্রাস্টের নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। ট্রাস্টটি এর কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য অনুদান ও ঋণ গ্রহণ করতে পারবে। এ ব্যাপারে ট্রাস্টকে আগাম অনুমতি গ্রহণ করতে হবে।