উন্নয়ন ডেস্ক –
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের সময় নিউইয়র্কে বিজয় উৎসবকে সর্বজনীন করার অভিপ্রায়ে ৩ জুন শুক্রবার সন্ধ্যায় এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার এই কর্মসূচি বাংলাদেশের সময়ের সাথে মিলিয়ে ২৪ জুন রাতে জ্যাকসন হাইটস সংলগ্ন গুলশান প্যারেসের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। এজন্যে কম্যুনিটি লিডার হাজী জাফরউল্লাহকে আহ্বায়ক এবং আশরাফ আলী খান লিটনকে সদস্য-সচিব করে একটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সেই কমিটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকবেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি আব্দুল কাদের মিয়া।
প্রস্তুতি সভায় আরো জানানো হয় যে, রাত ৯টায় শুরু হয়ে ভোর রাত একটা নাগাদ এ অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ছাড়াও প্রবাসের বিশিষ্টজনেরা অতিথি হিসেবে থাকবেন। বক্তব্যের চেয়ে গত ১২ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবিস্মরণীয় উন্নয়নের অভিযাত্রায় পদ্মা সেতু নির্মাণের আলোকে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শনকে গুরুত্ব দেয়া হয়। এছাড়া, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়, শহীদ হাসান ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত সঙ্গীতে অংশ নেবেন প্রবাসের বিশিষ্ট শিল্পীরা। অনুষ্ঠানের প্রচারণা গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে চালানোর সিদ্ধান্তও হয়েছে।
জ্যাকসন হাইটসে ইটজি রেস্টুরেন্টের পার্টি হলে এ প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি আব্দুল কাদের মিয়া। আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক রানা ফেরদৌস চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বারি, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিমউদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার চুন্নু, বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম চৌধুরী, কম্যুনিটি লিডার আবুল বাশার ভূইয়া, ইলিয়াস খান, জাফরউল্লাহ, শাহাবুদ্দিন চৌধুরী লিটন, নাজিমউদ্দিন, কানু দত্ত, মো. নবী হোসেন, আলমগীর কবীর, মোর্শেদ খান, মাহমুদুল হাসান, হেদায়েতুল ইসলাম, আবু সাঈদ সিদ্দিকী, জাকির হোসেন বাচ্চু প্রমুখ।
সমাপনী বক্তব্যে আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে অতীতের সকল কর্মসূচি সাফল্যজনকভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় এ বিজয় উৎসবকেও ভিন্ন এক আমেজে অনুষ্ঠানে সর্বস্তরের প্রবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি। কাদের মিয়া উল্লেখ করেন, এই উৎসবের সমর্থনে রয়েছে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, মুক্তিযুদ্ধ’৭১ এর যুক্তরাষ্ট্র শাখা, আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান-প্রজন্ম ফোরাম। তারা মাঠে রয়েছেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা রচনায় তাঁরই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার বিচক্ষণতাপূর্ণ নেতৃত্বে এগিয়ে চলা বাংলাদেশকে বহুজাতিক এ সমাবেশে যথাযথভাবে উদ্ভাসিত করতে। একইসাথে, এই প্রবাসেও দেশ-বিরোধী সকল অপতৎপরতা রুখে দিতেও তারা সংকল্পবদ্ধ।