কাস্তেলো সাও জর্জ বা সেন্ট জর্জ ক্যাসেল। পর্তুগাল ভ্রমণ করবেন কিন্তু লিসবনের ঐতিহাসিক এই দুর্গটিতে আসবেন না, এমন পর্যটক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
টিকিট কেটে ঢুকতেই পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ময়ূরেরা। কামন দাগার পাশাপাশি দুর্গের প্রাকৃতিক এই সৌন্দর্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে নিমেষেই। পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের প্রাণকেন্দ্রে সুউচ্চ পাহাড়ের চূড়ায় সাধু জর্জের নামে নির্মিত দুর্গ ‘কাস্তেলো সাও জর্জ’।
অষ্টম শতাব্দীতে নির্মিত ঐতিহাসিক এই দুর্গটি লিসবনের ইতিহাসের একটি বড় জায়গা জুড়ে রয়েছে। ক্ষমতার পালাবদলে ফিনিস, গ্রিক রোমানদের পর দুর্গটি পর্তুগীজদের দখলে আসে ১১৪৭ খ্রিষ্টাব্দে। যা পরবর্তীতে শত্রুদের হাত থেকে লিসবন রক্ষায় বড় ভূমিকা রাখে।
করোনা মহামারিতে এ বছর পর্যটক সঙ্কটে ক্যাসেলটিও। তবুও দৃষ্টিনন্দন ও প্রত্নতাত্ত্বিক এই নিদর্শনটি ভ্রমণে আসা অল্প সংখ্যক পর্যটকরাও বিমোহিত এর রূপে। দুর্গের অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি চূড়া থেকে লিসবনের সৌন্দর্যে মুগ্ধ পর্যটকরা।
আগত পর্যটকর বলেন, ‘এটা সত্যিই অনেক সুন্দর। পুরো শহরটা এখান থেকে দেখা যায়। অনেক ভালো লেগেছে।’
‘প্রথম বারের মতো এখানে এসেছি। সব ঘুরে দেখলাম। আবারও এখানে আসবো।’
‘এটা অন্য রকম এক অভিজ্ঞতা। আবহাওয়া আমাদের অনূকুলে ছিলো। সব মিলিয়ে দারুণ সময় কাটলো।’
এছাড়াও রয়েছে জাদুঘর, প্রদর্শনীসহ দৃষ্টিনন্দন নানা আয়োজন। ১৭৫৫ সালের ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দুর্গটি সংস্কারে বেশ বেগ পেতে হয় সংশ্লিষ্টদের।