বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানালেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আব্দুল মাজেদের ফাঁসিতে বাধা নেই।

আব্দুল মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষমা নাকচের চিঠি কারাগারে পৌঁছেছে।

সাজা কার্যকর বিষয়ে বৃহস্পতিবার সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ফাঁসিতে কোনো বাধা নেই। আমরা সে কোনো সময় কার্যকর করতে পারব।”

সময় নির্ধারণ নিয়ে জানান, কোনো সময় নির্ধারণ করা হয়নি। আমরা বসে নির্ধারণ করবো।

সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর থেকে মাজেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিটিসি)। সেখান থেকে কারাগারে পাঠানো হয় প্রায় ২৩ বছর ভারতে পালিয়ে থাকা এই খুনিকে।

মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে ফৌজদারি কার্যবিধি ৫৪ ধারায় তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে সিটিটিসি। এ সময় বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার না দেখানো পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে কাউন্টার টেরোরিজম। আদালত শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

বুধবার বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ হেলাল চৌধুরী। সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে ওই কোর্টের ছুটির আদেশ বাতিল করা হয়। এরপর বিচারক মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন। লাল কাপড়ে মোড়ানো এই মৃত্যু পরোয়ানা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

বুধবার আদালত থেকে আসা মৃত্যু পরোয়ানা কারা কর্তৃপক্ষ মাজেদের কাছে দেয়। পরোয়ানা পড়ে শোনানোর পর রাতেই মানবিক বিবেচনায় রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান তিনি।

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আব্দুল মাজেদসহ ১২ আসামিকে ২০০৯ সালে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ ও মুহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি কার্যকর হয়।

রায় কার্যকরের আগে ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান আসামি আজিজ পাশা।

এখনো বিদেশে পলাতক আছেন পাঁচজন। তারা হলেন- খন্দকার আবদুর রশীদ, শরিফুল হক ডালিম, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, এ এম রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেম উদ্দিন।