ডেস্ক: রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন খাতের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান নোভাটেক। নভেল করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) ওপর ভরসা করছে প্রতিষ্ঠানটি। এর অংশ হিসেবে এলএনজি উৎপাদন প্রায় তিন গুণ বাড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে রুশ নোভাটেক। খবর রয়টার্স ও অয়েলপ্রাইসডটকম।
নোভাটেকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০৩০ সাল নাগাদ প্রতিষ্ঠানটি এলএনজির বার্ষিক উৎপাদন সর্বোচ্চ সাত কটি টনে উন্নীত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে রুশ নোভাটেকের আওতায় জ্বালানি পণ্যটির উৎপাদন বর্তমানের তুলনায় তিন গুণ বাড়তে পারে।
এলএনজির বৈশ্বিক রফতানি বাজারে আধিপত্য বিস্তারের পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া।এ খাতে কাতার, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সমকক্ষ হতে চায় মস্কো। বর্তমানে এলএনজির বৈশ্বিক রফতানিতে রাশিয়ার বাজার হিস্যা ১০ শতাংশের নিচে। ২০২৫ সালের মধ্যে তা ১৫ শতাংশে উন্নীত করতে চায় দেশটি। এ পরিপ্রেক্ষিতে রুশ নোভাটেকের এলএনজি উৎপাদন বৃদ্ধির চিন্তাভাবনা জ্বালানি পণ্যটির বৈশ্বিক রফতানি খাতে মস্কোর উচ্চাভিলাষ পূরণে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
লন্ডন ও মস্কো স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত নোভাটেকের হাতে রাশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম জামাল এলএনজি প্রকল্প রয়েছে।সাইবেরিয়াভিত্তিক এ প্রকল্প থেকেই প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছর দুই কোটি টনের বেশি এলএনজি উৎপাদন করে। প্রকল্পটি চালুর পর জ্বালানি বাজারে রুশ নোভাটেকের প্রভাব ও আধিপত্য অনেকটাই বেড়েছে।
পাশাপাশি ২০২৩ সাল নাগাদ আর্কটিক এলএনজি-২ প্রকল্প চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে নোভাটেক।২০২৬ সালে প্রকল্পটি থেকে সক্ষমতার পুরোটা এলএনজি উৎপাদন করা সম্ভব হবে। ওই সময় আর্কটিক এলএনজি-২ প্রকল্প থেকে প্রতি বছর দুই কোটি টন এলএনজি উৎপাদন করতে পারবে রাশিয়া।
এছাড়া আর্কটিক এলএনজি-১ ও ওবেস্কি নামে আরো দুটো এলএনজি প্রকল্প নোভাটেকের পাইপলাইনে রয়েছে।মূলত এসব প্রকল্পের ওপর ভর করে ২০৩০ সাল নাগাদ বছরে সাত কোটি টন এলএনজি উৎপাদনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে নোভাটেক।