বাসের ঢিলেমিতে মিলছে না পায়রা সেতুর সুফল

উন্নয়ন ডেস্ক –

পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার লেবুখালী ফেরিঘাট পারাপারের জন্য আগে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের সময়ের অপচয় হতো। সেই দুর্ভোগ এখনও কাটেনি পায়রা সেতু নির্মাণের পরও। এখনও সেতুর টোলপ্লাজার আগে পাগলা চৌরাস্তায় দীর্ঘসময় বাস দাঁড় করিয়ে রাখেন চালকরা। যাত্রীদের অভিযোগ, এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে প্রায়ই চালক-সহকারীদের কাছে দুর্ব্যবহারের শিকার হতে হয় তাঁদের।

গত রোববার পাগলার মোড়ের একটি বাসে কথা হয় চাকরিপ্রত্যাশী মো. মাকসুদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, দ্রুত চলাচলের জন্য দক্ষিণাঞ্চলবাসীকে এ সেতু উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অথচ মুনাফালোভী শ্রমিকরা সেতুর টোলপ্লাজায় দীর্ঘ সময় ধরে বাস থামিয়ে রাখেন।

সেখানে অপর যাত্রী হোসনে আরা বেগম বলেন, ‘আমাদের ভোগান্তি কমেনি। ফেরিঘাটের মতো এখনও সেতুর টোলে ২০-৩০ মিনিট বসে থাকতে হয়।’ এভাবে যদি সময়ের অপচয় হয়, তাহলে সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে এই সেতু নির্মাণের দরকার কী ছিল।

প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে পায়রা সেতু। চার লেনের সেতুটি ১ হাজার ৪৭০ মিটার দীর্ঘ ও ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার চওড়া। ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে দিনই যানবাহন চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেওয়া হয়।

‘মায়ের দোয়া’ নামের একটি বাসের চালক মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, ফেরি চলাচলের সময়ও পাগলা মোড়ে (সেতু টোলপ্লাজা) যাত্রী ওঠানামার জন্য বাস কিছুক্ষণ থামিয়ে রাখা হতো। এখনও এভাবেই চলছে। তবে তা খুবই অল্প সময়ের জন্য বলে দাবি করেন তিনি। ২০-৩০ মিনিট থামিয়ে রাখার যাত্রীদের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। দাবি করেন, এভাবেই চলছে কুয়াকাটা-পটুয়াখালী-বরিশাল রুটের সব বাস।

পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন মৃধা এ বিষয়ে বলেন, পটুয়াখালী-বরিশাল রুটে চলাচলকারী বাসের চালকদের ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছতে না পারলে তাঁদের বরখাস্ত করা হয়। পায়রা সেতুর টোলপ্লাজায় বাস থামিয়ে রাখার বিষয়টি তিনি জানতেন না। এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।