উন্নয়ন ডেস্ক –
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পরিপ্রেক্ষিতে বেতনভাতা বাড়ানোর দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো মিরপুরের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বিভিন্ন তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।
এতে মিরপুরের বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে কর্মস্থলগামী যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ওয়াকিল আহমেদ হিরণ মিডিয়াকে বলেন, রোববার সকাল ১০টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে দেখি পুরো সড়কে গাড়ি থেমে আছে। মনে করলাম, জ্যাম। কিন্তু যতই সামনে এগোচ্ছি, দেখছি গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলছে। আমি আগারগাঁও পর্যন্ত হেঁটে এলাম।
মিরপুরের কাজীপাড়া, শ্যাওড়াপাড়া, আগাঁরগাও, তালতলার সড়ক বন্ধ থাকায় চাপ পড়েছে মিরপুর সড়কেও।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা তাসলিমা তামান্না মোহাম্মদপুরের টাউন হল থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হন সকাল ৯টায়। সাতরাস্তার কর্মস্থলে আসতে তার সময় লাগছে দুই ঘণ্টার মতো।
তিনি বলেন, অন্যান্য দিন আমার সময় লাগে এক ঘণ্টার মতো। কিন্তু আজ প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লেগেছে। সড়কে তীব্র যানজট।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপতি তাসলিমা আক্তার মিরপুরের সেই বিক্ষোভের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘মিরপুর আবারও রণক্ষেত্র। দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতিতে দিশেহারা পোশাক শ্রমিকের মাঠে নামা ছাড়া লড়াই ছাড়া গতি নাই। মজুরি বাড়াও না হয় চাল ডালসহ সকল দ্রব্যমূল্য কমাও দাবি এখন সকলের দাবি। মজুরি বৃদ্ধির দাবির যৌক্তিকতা শ্রমিক ভাই বোনরা তাদের জীবন দিয়েই সামনে আনছে।’
শ্রমিকদের বেতন কাঠামো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘২০ হাজার টাকা পোশাক শ্রমিকদের মজুরি যথেষ্ট কি না বর্তমান বাজারে সেটিও প্রশ্ন। লড়াই ছাড়া শ্রমজীবীর বাঁচার কোন পথ নাই। ’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির মিরপুর জোনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাহবুবুর রহমান বলেন, রোববার সকাল থেকে মিরপুর-১৪, মিরপুর-১০ এলাকায় গার্মেন্টস শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছেন। তারা বেতন বাড়ানোর দাবিতে গতকালও বিক্ষোভ করেছিল। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করছি।