ভাষাসৈনিক তাহেরের শেষ চাওয়া প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার কৃতী সন্তান ভাষাসৈনিক আলী তাহের মজুমদারের সংগ্রাম এখনও শেষ হয়নি। শতোর্ধ বয়সী এ ভাষাসৈনিকের এখনও মেলেনি রাষ্ট্রীয় কোনো স্বীকৃতি। আর্থিক অসচ্ছল এ ভাষানিকের দিন কাটে অনেকটা দারিদ্র্যতার সঙ্গে সংগ্রাম করে।
কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার বারপাড়া ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামে ১৯১৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জন্ম এ সৈনিকের। বাবা মরহুম মো. চারু মজুমদার ও মা সাবানী বিবি। বাঙালির ভাষা আন্দোলন আর বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে জীবনবাজি রেখে দেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছেন এ বীর।
জীবন সায়াহ্নে এসে এখন তার আর চাওয়া-পাওয়ার কিছুই নেই। শুধু রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি আর জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একবার সাক্ষাৎই তার এ মুহূর্তের চাওয়া।
এদিকে ভাষাসৈনিক আলী তাহের মজুমদারকে ভাষার মাস এলেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়ার জন্য সাময়িক ডাকাডাকি করেন। আর ভাষার মাস চলে গেলে তিনি থাকেন খবরের অন্তরালে।জানা যায়, আলী তাহের মজুমদার ছাত্রাবস্থায় ১৯৩৫ সালে কংগ্রেস রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ৮ম পাঞ্জাব এমটি আর্মিতে কলকাতায় যোগদান করেন। তখন ৭-৮ মাস আর্মির প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর ছুটিতে আসেন।
ছুটি শেষে আর্মিতে যোগদান না করায় তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে মার্শালকোর্ট। তৎকালীন কৃষক লীগ নেতা আবদুল মালেক তাকে আর্মিতে না ফেরার অনুরোধ করলে তিনি ছুটি শেষে আর ফিরে যাননি। তৎসময় কুমিল্লার ডিসি অফিসের আবদুল মজিদ ও এসপি অফিসের মোজাফ্ফর আহমেদ ভূঁইয়া তাকে মার্শালকোর্টের বিচার থেকে বাঁচানোর জন্য ফেনীতে জাপানি বোমায় তিনি নিহত হয়েছেন বলে পাঞ্জাবে লিখিত রিপোর্ট পাঠায়।
এর পর তিনি ১৯৪৩ সালের ডিসেম্বরে নেতাজী সুভাষ বসুর আজাদহীন্দের অনুচর হিসেবে ১২নং আমেরিকার বোমা স্কোয়াড্রন কোম্পানিতে চাকরিতে যোগদান করেন। #