ভোজ্যতেলের শুল্ক কমানোর পরিকল্পনা করছে ভারত

উন্নয়ন ডেস্ক –

একদিকে ইউক্রেন যুদ্ধ, অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল রফতানি বন্ধের ঘোষণা ভোজ্যতেলের বাজারকে ভয়াবহ অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে নিয়ে গিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ভোজ্যতেলের আমদানি শুল্ক কমানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ভারত। উদ্দেশ্য আকাশচুম্বী দামে লাগাম টেনে ধরা। দেশটির খাতসংশ্লিষ্টরা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর ইকোনমিক টাইমস।

ভারত বিশ্বের শীর্ষ ভোজ্যতেল আমদানিকারক। দেশটি অপরিশোধিত পাম অয়েল আমদানিতে কৃষি অবকাঠামো ও উন্নয়ন শুল্ক কমানোর কথা ভাবছে। তবে পরিবর্তিত শুল্কহার এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।

তথ্য বলছে, নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের ওপর প্রাথমিক শুল্কের বাইরে অতিরিক্ত শুল্ক দিতে হয় দেশটির আমদানিকারকদের। কৃষি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়ন এসব শুল্কের মাধ্যমে। এরই মধ্যে ভারত সরকার অপরিশোধিত পাম অয়েল আমদানিতে প্রাথমিক শুল্ক উঠিয়ে নিয়েছে।

তবে শুল্ক কমানোর বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়। কৃষি ও খাদ্যমন্ত্রীও এ বিষয়ে চূড়ান্তভাবে কিছু জানাননি।

ভোজ্যতেলের মোট চাহিদার ৬০ শতাংশই আমদানির মাধ্যমে পূরণ করে ভারত। ফলে সরবরাহ সংকটের উদ্বেগে পাম অয়েল ও সয়াবিন তেলের দাম হু হু করে বাড়তে থাকায় বিপাকে পড়েছে দেশটি। দুই বছর ধরেই ভোজ্যতেলের দাম ঊর্ধ্বমুুখী। চলতি বছর রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর বাজার আরো বেশি অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। কারণ ইউক্রেন বিশ্বের শীর্ষ সূর্যমুখী তেল রফতানিকারক। যুদ্ধের প্রভাবে দেশটির রফতানি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

অন্যদিকে গত ২৮ এপ্রিল থেকে পাম অয়েল রফতানি বন্ধ রেখেছে ইন্দোনেশিয়া। উদ্দেশ্য স্থানীয় বাজারে পাম অয়েলের দাম নিয়ন্ত্রণ এবং উৎপাদন শিল্পের সমৃদ্ধি সাধন।

ভারত আগে থেকেই মূল্য নিয়ন্ত্রণের জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশটি এর আগেও পাম অয়েল, সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের আমদানি শুল্ক কমিয়েছে। কৃত্রিম সংকট এড়াতে মজুদ সীমিত করেছে।