মাঙ্কিপক্স কী, উপসর্গ কেমন?

উন্নয়ন ডেস্ক –

এরইমধ্যে বিশ্বের ৩০টির বেশি দেশে ছড়িয়েছে এ ভাইরাস। যার মধ্যে কিছুটা উদ্বেগজনক অবস্থায় আছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এ পর্যন্ত দুই শতাধিক ব্যক্তির দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে, যা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। এ ছাড়া স্পেন, পর্তুগাল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ২৫ জনের দেহে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোনো মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত হয়নি বলে জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ। ‘দেশে বিদেশি একজন নাগরিকের দেহে মাঙ্কিপক্সের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে’ এ সংক্রান্ত যে তথ্যটি প্রচার হচ্ছে তা সঠিক নয়। তারপরও নতুন এ ভাইরাস সম্পর্কে আমাদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা উচিত।

কী এ মাঙ্কিপক্স?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি এক বিশেষ ধরনের বসন্ত। জলবসন্ত বা গুটিবসন্তের প্রতিকার থাকলেও এই ভাইরাসটি খুবই বিরল। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্তদের সুস্থ করতে নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসাপদ্ধতি বের করতে পারেনি চিকিৎসকরা। মূলত পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার কিছু দেশে এ ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায়। তবে নাম ‘মাঙ্কিপক্স’ হলেও একাধিক বন্যপ্রাণীর মাধ্যমে ছড়াতে পারে এ ভাইরাস। বস্তুত এটি সবচেয়ে বেশি ছড়ায় ইঁদুরের মাধ্যমে।

আক্রান্তদের উপসর্গ কেমন?

দীর্ঘ সময়ে আক্রান্ত ব্যক্তি কিংবা প্রাণীর কাছাকাছি থাকলে সংক্রমিত হওয়ার শঙ্কা থাকছে। এ ছাড়া রোগীর বিছানাপত্র ও শয্যা ব্যবহার করলে ভাইরাসটি ছড়াতে পারে। আক্রান্তের ব্যবহার করা পোশাক-পরিচ্ছেদ থেকেও ছড়িয়ে পড়তে পারে সংক্রমণ।

আক্রান্ত হলে জ্বর, মাথাব্যথা, পিঠ ও গায়ে ব্যথা, শরীর ফুলে ওঠা ও অস্বস্তিকর ব্যথার মতো সমস্যা হতে পারে। হতে পারে কাঁপুনি ও ক্লান্তিও। অবসাদের পাশাপাশি চুলকানি, হাত-পা-মুখে ক্ষত দেখা যায়। দেহের বিভিন্ন লসিকা গ্রন্থি ফুলে ওঠে। সঙ্গে ছোট ছোট ক্ষতচিহ্ন দেখা দিতে থাকে মুখে। ধীরে ধীরে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে সেই ক্ষত।

গুটিবসন্ত জাতীয় রোগটিতে সাধারণত ফুসকুড়ি ওঠে। তারপর তা ফোসকায় রূপ নেয়, আর শেষে খোশপাঁচড়া হয়ে তা শরীরে যন্ত্রণা দেয়। রোগটির প্রাদুর্ভাব হয় ছোট আকারে, পরে নিজে নিজেই শেষ হয়ে যায়।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি থাকলে বেড়ে যেতে পারে সংক্রমণের আশঙ্কা। শ্বাসনালি, ক্ষত স্থান, নাক, মুখ কিংবা চোখের মাধ্যমে এই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে সুস্থ ব্যক্তির দেহে।