উন্নয়ন ডেস্ক –
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের পদত্যাগ দাবিতে রাজপথে নেমেছেন শিল্পীরা।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ১৮৪ জন অভিনয় শিল্পীর ভোটধিকার অন্যায়ভাবে কেড়ে নিয়েছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান- এমন অভিযোগে তাদের পদত্যাগ চেয়ে রাস্তায় নেমেছেন ভোটাধিকার হারানো শিল্পীরা।
রোববার বেলা ১১টায় এফডিসির মূল গেটের সামনে ১৮৪ জন শিল্পী এই মানববন্ধনে অংশ নেন। সেই সঙ্গে কণ্ঠে আওয়াজ তোলেন- ‘যে নেতা শিল্পীদের সম্মান করে না, তাকে আমরা চাই না।’ পাশাপাশি ভোটাধিকার ফেরত দেওয়ার দাবিও তোলেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এই মিশা-জায়েদ অন্যায়ভাবে আমাদের সদস্যপদ বাতিল করেছে। তারা বলে আমরা নাকি কোনো শিল্পীই না। অথচ আমরাও সিনেমার অপরিহার্য অংশ। আমরা শিল্পী না হলে জায়েদ খান আবার কিসের শিল্পী?
তারা আরও বলেন, যারা সিনেমায় ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন তারাও শিল্পী, তারাও প্রতিটি সিনেমার অপরিহার্য অংশ। তাদের বাদ দিয়ে একবার সিনেমা ভাবুন তো! অথচ জায়েদ তাদের অপমান করলো। আমরা অনেকদিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে আসছিলাম। কিন্তু জায়েদ কোনো কূল-কিনারা করেননি। এ সময় জায়েদ খানের বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগ তুলে ধরেন তারা।
এর আগে এফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাব হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চলচ্চিত্র শিল্প রক্ষার দাবি তুলে বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৮টি সংগঠন।
সম্মেলনে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়। সেখানে বলা হয়, এ ঘোষণার পর থেকে যারা জায়েদ খানের সঙ্গে কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০১৭-১৮ সালের শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সমিতির মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৬২৪ জন। মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেল বিজয়ী হওয়ার পর এ তালিকা থেকে ১৮১ জন ভোটারের ভোটাধিকার বাতিল করে কেবল সহযোগী সদস্য করা হয়েছে।
অন্যদিকে, নতুন করে ২০ জন শিল্পীকে ভোটার করা হয়েছে। শিল্পী সমিতির ২০১৯-২০ মেয়াদের নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ছিলো ৪৪৯ জন।