‘মুজিববর্ষে ৫০ লাখ নারী আর্থিকভাবে ক্ষমতাশালী হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, জাতির পিতা দেশ স্বাধীনের পরপরই সংবিধানে নারীর অধিকার ও সমতা নিশ্চিত করেন। আওয়ামী লীগ সরকারই এদেশে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে কল্যাণকর বিভিন্ন আইন ও নীতি প্রণয়ন করেছে। এবার মুজিববর্ষে ৫০ লাখ প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত নারীকে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায়ন করা হবে।
জাতিসংঘের উদ্যোগে আগামী ৯ থেকে ২০ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য ‘কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অব উইমেনের’ ৬৪তম অধিবেশনের মূল আলোচ্য ‘রিভিউ অ্যান্ড অ্যাপ্রাইসাল অব দ্য ইমপ্লিমেশন অব বেইজিং ডিক্লারেশন অ্যান্ড প্লাটফর্ম ফর অ্যাকশন’ বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রোববার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইউএন উইমেন বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগ এ সভার আয়োজন করা হয়। মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১০ বছরে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্য নারীউদ্যোক্তা সৃষ্টি, কর্মসংস্থান, সমতা প্রতিষ্ঠা ও বৈষম্য হ্রাসের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন যার ফলে সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে।
তিনি বলেন, বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে চার বছর জাতীয় সংসদে নারী সংরক্ষিত আসন বন্ধ রেখেছিল ও আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রণীত নারী উন্নয়ন নীতি রাতের আঁধারে বাতিল করে দেয়। যার ফলে বাংলাদেশে বাংলাদেশে নারীর অগ্রগতি বন্ধ হয়ে যায়।
সভায় কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অব উইমেনের ৬৪তম সভায় আলোচিত হতে যাওয়া বেইজিং প্লাটফর্ম ফর অ্যাকশনের ফলাফল, নারীর অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, শোভন কর্মপরিবেশ, দারিদ্র্য হ্রাস, সহিংসতা প্রতিরোধ, সর্বস্তরে নারীর ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর সমতা অর্জন বিষয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া বেইজিং ঘোষণা পরবর্তী ২৫ বছরে দেশে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের চিত্র তুলে ধরা হয়।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তারের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ইউএন উইমেনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ শোকো ইশিকাওয়া ও দীপ্ত ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জাকিয়া কে হাসান।
সভায় মুক্ত আলোচনা পর্বে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের শীপা হাফিজা ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের মালেকা বানুসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ফোকাল পয়েন্ট, বেসরকারি ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। #