উন্নয়ন ডেস্ক –
প্রকৃতিতে এখন বর্ষাকাল চলছে। এ সময় বৃষ্টিতে ঘরে কাদার ছাপ, স্যাঁতসেঁতে মেঝে বা দেওয়াল, পোকামাকড়ের উৎপাত লেগেই থাকে।। এ কারণে বর্ষায় ঘরবাড়ির দিকে আলাদা নজর দিতে হয়। তার উপর এ বছর যোগ হয়েছে করোনা। তাই ঘর জীবাণুমুক্ত রাখতে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন।
করোনা সংক্রমণের এই সময় ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখতে কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন। যেমন-
১. বর্ষার এই সময় যখন তখন বৃষ্টি শুরু হতে পারে। তাই দরজা ও জানলার কাছ থেকে কিছুটা দূরে সরিয়ে রাখুন কাঠের আসবাবপত্র। বর্ষার পানি থেকে বাঁচার এটাই সেরা উপায়।
২. বাড়িতে কার্পেট থাকলে এ সময় তা গুটিয়ে রাখুন। এতে কার্পেট ভিজে যাওয়ার ভয় কম থাকে। কাদার দাগ লাগার শঙ্কাও দূর হয়। এমনিতেই ভারী কার্পেট পরিষ্কার করা খুব কষ্টসাধ্য। একান্তই কার্পেট রাখতে চাইলে আজকাল বাজারে অনেক স্পঞ্জি, পানি শোষণ ক্ষমতাযুক্ত কার্পেট পাওয়া যায়। বর্ষায় সে গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
৩. আলমারির ভিতর স্যাঁতসেঁতে ভাব কাটাতে জীবাণুনাশক ন্যাপথলিন রাখতে পারেন। খানিকটা নিমপাতাও রাখতে পারেন। নিম এক দিকে যেমন জলীয় ভাব কাটায়, অন্য দিকে স্যাঁতস্যাতে গন্ধও দূর করে।
৪. এ সময় চাদর, পর্দা সব কিছু পরিষ্কারের ক্ষেত্রে আস্থা রাখুন ড্রাই ক্লিনিংয়ে। কারণ এগুলো ভেজা থাকলে দুর্গন্ধ ছড়াবে অচিরেই। সেখান থেকেও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হতে পার।
৫. বর্ষার স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় বাড়ির সদস্যদের স্বাস্থ্যের বিষয়টি মাথায় রাখুন। ভুল করেও ঘরের আশেপাশে, টবে পানি জমতে দেবেন না। মশা ও অন্যান্য পোকামাকড় তাড়াতে কীটনাশক ব্যবহার করুন। এক দিন পর পর ব্লিচিং পাউডার ও কার্বলিক অ্যাসিড ছড়ান বাড়ির চার পাশে। এছাড়া করোনা সংক্রমণ এড়াতে বাড়ির মেঝে, যেসব জায়গা বেশি স্পর্শ করা হয় সেখানে পানিতে ব্লিচিং পাউডার মিশিয়ে পরিষ্কার রাখুন।
৬. বর্ষা আসার আগেই বাড়ির ছাদ, মেঝে ও দুই দেওয়ালের সংযোগস্থল পরীক্ষা করা উচিত। মহামারিরর এই সময় অনেকেই হয়তো বাইরের লোক ডাকতে পারছেন না। তবে কোথাও কোনও ফাটল বা আর্দ্রতা জমতে দেখলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।