যুগে যুগে এসেছে আসমানি কিতাব

উন্নয়ন ডেস্ক –

আল্লাহর প্রেরিত আসমানি কিতাব ১০৪টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় গ্রন্থ চারটি। তাওরাত, জাবুর, ইনজিল ও কোরআন। এ চারটি ছাড়া অন্য আসমানি কিতাবকে ‘সহিফা’ বলা হয়। ইবরাহিম (আ.)-এর ওপর ৩০টি সহিফা অবতীর্ণ হয়েছে। মুসা (আ.)-এর ওপর তাওরাতের আগে ১০টি সহিফা অবতীর্ণ করা হয়েছে। শিশ (আ.)-এর ওপর ৬০টি সহিফা অবতীর্ণ করা হয়েছে। আর বড় বড় কিতাবগুলোর মধ্যে তাওরাত মুসা (আ.)-এর ওপর অবতীর্ণ হয়েছে। জাবুর দাউদ (আ.)-এর ওপর অবতীর্ণ হয়েছে। ইনজিল ঈসা (আ.)-এর ওপর অবতীর্ণ হয়েছে। সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানি কিতাব কোরআন মজিদ মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর অবতীর্ণ হয়েছে। (সূত্র : সাবি : ৩/২৫৯; হাশিয়ায়ে জালালাইন : ২/৩৬৬)

আসমানি কিতাবের ওপর ঈমান আনার অর্থ হলো এই বিশ্বাস পোষণ করা যে সবগুলো আসমানি কিতাব মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিল হয়েছে। আর এ কিতাবগুলোর মধ্যে আল্লাহ তাআলা যেগুলোর বিস্তারিত বিবরণ উল্লেখ করেছেন, সেগুলোর ওপর বিস্তারিতভাবে ঈমান আনা। এ ধরনের কিতাবগুলো হলো কোরআন, তাওরাত, ইনজিল, জাবুর ইত্যাদি। আর মহান আল্লাহ যে কিতাবগুলোর কথা সামষ্টিক ও সংক্ষিপ্তভাবে উল্লেখ করেছেন, সেগুলোর ওপর সামষ্টিকভাবে ঈমান আনা। ইরশাদ হয়েছে, ‘…বলে দাও, আল্লাহ যে কিতাব নাজিল করেছেন, আমি তাতে বিশ্বাস স্থাপন করেছি…।’ (সুরা : শুরা, আয়াত : ১৫)। পাশাপাশি এই বিশ্বাস পোষণ করা যে আল্লাহ তাআলা কোরআনকে সব আসমানি কিতাবের সত্যায়নকারীরূপে নাজিল করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর আমি তোমার প্রতি যথাযথভাবে কিতাব নাজিল করেছি এর আগে অবতীর্ণ কিতাবের সত্যায়নকারী ও সংরক্ষণকারীরূপে…।’ (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৪৮)