জুলাই ২৭, ২০২৪

আমাদের সম্পর্কে আরো জানুনঃ

রক: ব্যর্থ ফুটবলার থেকে বিশ্বসেরা ধনী অভিনেতা

উন্নয়ন ডেস্ক –

মাছ যদি পাখি হতে চাইতো, তাহলে চিরদিন তাকে হাপিত্যেশ করেই মরতে হতো।

নিজেকে চেনার এই উপলব্ধি রেসলার জগতের মহাতারকা ‘দ্য রক’ অর্জন করতে পেরেছিলেন বলেই আজ তিনি পৃথিবীর ধনীতম পুরুষ অভিনেতা।

৪৮ বছর বয়সী রকের আসল নাম ডোয়াইন জনসন। কিছুদিন আগে ফোর্বস জানিয়েছে, গত বছরের জুন থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত জনসন পৌনে ৯ কোটি ডলার আয় করেছেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৪৬ কোটি টাকার মতো। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে নেটফ্লিক্স থ্রিলার ‘রেড নোটিশ’-এর পারিশ্রমিক ২.৩৫ কোটি ডলার।

জনসনকে নিয়ে রবিবার মিরর অনলাইন একটি ফিচার প্রকাশ করেছে। সেখানে উঠে এসেছে তার ব্যর্থ থেকে ‘সফলতম’ জীবনের কথা।

ক্যারিয়ারের শুরুতে, ১৯৯৫ সালের দিকে কানাডিয়ান ফুটবল দল ক্যালগারি স্ট্যাম্পেডার্স থেকে বাদ পড়ে জনসন একদম ভেঙে পড়েন। সেদিনের কথা স্মরণ করে সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, ‘বুঝতেই পারছিলাম না কোথায় যাবো, কী করবো। মনে হচ্ছিল হতাশায় ডুবে যাচ্ছি।’

এরপর বাবা-দাদাদের মতো রেসলিং পেশায় ঢুঁ মারতে আসেন। বাকিটা তো ইতিহাস।

টানা দুই বছর সেরা ধনী অভিনেতার খেতাব ধরে রাখা জনসন এখন পর্যন্ত ৩০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

আরও পড়ুন: আর ‘ফিরবেন না’ আন্ডারটেকার

ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ না হওয়ায় এক সময় ভেঙে পড়া জনসন এখন সেই ব্যর্থতার জন্য উদ্বেলিত, ‘স্বপ্ন সত্যি না হওয়ায় এখন তো আনন্দ হয়। অনেক সময় এমন ব্যর্থতা আমাদের সত্যিকারের জায়গা চিনিয়ে দেয়।’

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় জন্ম নেয়া জনসন কিছুদিন মায়ের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডেও থেকেছেন। ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত চুরি এবং মারামারির অভিযোগে বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হন।

ইউনিভার্সিটি অব মিয়ামিতে পড়ার সময় তিনি ভার্সিটি টিমে সুযোগ পান। ১৯৯১ সালে তার দল জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয় করে। পরে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে কানাডার ফুটবল লিগে চলে যান।

‘ফুটবলে সফল হতে আমি সবকিছু করেছি। তারপরেও দল থেকে বাদ পড়ি। আমাকে বলা হয়, ভালো খেলতে পারি না। পরে সাত ডলার দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। এভাবে আমার কয়েক বছরের রক্ত, ঘাম আর কান্নার বিনিময়ে দেখা স্বপ্ন চোখের পলকে শেষ হয়ে যায়।’

জনসনের বাবা রকিই ছেলেকে রেসলিংয়ে পাঠান। নাম দেন ‘দ্য রক’। সেই থেকে প্রামাণ্যচিত্র-ভিত্তিক ডব্লিউ ডব্লিউ ই-তে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন তিনি।

এক সময় নাম লেখান টিভি সিরিজে। সেখানেও তুমুল জনপ্রিয়তা পান। ২০০১ সালে বড় পর্দায় আসার আগে বেশ কয়েকটি সিরিজে দেখা গেছে তাকে।

জনসন ১৯৯৭ সালে ড্যানি গার্সিয়া নামের এক ব্যবসায়ী নারীকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে সাইমন আলেকজান্দ্রা নামের এক কন্যা সন্তান আছে। সাইমন ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, ১৮ বছর বয়সে সে বাবার মতো রেসলার হতে চায়।

ড্যানির সঙ্গে জনসনের সংসার অবশ্য টেকেনি। ২০০৭ সালে ডিভোর্স হয় তাদের। এরপর বিয়ে করেন গায়িকা লরেন হাশিয়ানকে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Pinterest
Reddit