উন্নয়ন ডেস্ক –
* বিশ্বের ১০তম দীর্ঘ সেতুর পুরো নাম ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু’।
* সেতুটি নির্মাণের জন্য ৬৮৮৫ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছে।
* সেতুর নকশা প্রণয়ন করেছে আমেরিকার MNC ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম AECOM।
* সেতুর নির্মাণ প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিঃ
* সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। সংযোগ সড়ক সহ প্রায় ১০ কিলোমিটার।
* প্রস্থ প্রায় ৬০ ফুট।
* নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর।
* সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং তদারকির দায়িত্ব পালন করছে চায়ানা, কোরিয়ান ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
* সেতুর পাড়ে সেনানিবাস।
* প্রতিদিন গড়ে ৭৫ হাজার যানবাহন চলাচল করবে।
* ভূমিকম্প সহনশীল মাত্রা ৯ রিখটার স্কেল।
* সেতুটির ভায়াডাক্ট ৩ দশমিক ১৮ কিলোমিটার এবং পিলার ৮১টি। মোট স্প্যান সংখ্যা ৪২।
* প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার এবং প্রতিটি স্পেনের ওজন ৩ হাজার ২০০ টন।
* সেতুর স্থানাঙ্ক ২৩.৪৪৬০ ডিগ্রি (উত্তর) এবং ৯০.২৬২৩ ডিগ্রি (পূর্ব)।
* পানির স্তর থেকে এই অত্যাধুনিক সেতুর উচ্চতা ৬০ ফুট এবং এর গড় পাইলিং গভীরতা প্রায় ৪০০ ফুট।
* সেতুতে থাকছে চার লেনের সড়ক, ২ তলা ট্রেন চলার উপযোগী রেললাইন, বিদ্যুৎ লাইন, গ্যাস লাইন, অপটিক্যাল ফাইবার লাইন ইত্যাদি।
* সংযোগ সড়ক হচ্ছে জাজিরা ও মাওয়া
* সংযোগ সড়কের দূরত্ব ১৪ কিলোমিটার।
* দুই পাড়ে নদী শাসন ১২ কিলোমিটার
* মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজংয়ের সঙ্গে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলার সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হবে
* দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৯টি জেলার সঙ্গে সংযোগ ত্বরান্বিত হবে।
* ভবিষ্যতে আন্ত মহাদেশীয় সড়কের সম্ভাবনা সৃষ্টি।
* হাজার হাজার বছরের প্রবাহমান নদীর তলদেশে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির জটিল পাইলিং।
* বাংলাদেশের জিডিপিতে কমপক্ষে ১.২% যোগ।
* অতিরিক্ত আনুমানিক ৫ হাজার কোটি টাকা যোগ করতে পারলে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের মতো ডবল রেল লাইন তৈরি করা সম্ভব হতো। যমুনা বঙ্গবন্ধু ব্রীজের মতোই সম্ভবত আগামী ১০০ বছর এ বিষয়টি বাংগালীর আফসোস করার কারণ হয়ে থাকবে।