রাতের ভোটের সরকার ক্ষমতায় বলেই সাহেদ-সাবরিনাদের উত্থান: রিজভী

উন্নয়ন ডেস্ক –

রাতের ভোটের সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই দেশে সাহেদ-সাবরিনাদের উত্থান হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সরকারের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আপনি দিনের ভোট রাতে নেবেন, তাহলে কি সমাজে সাহেদ-সাবরিনার উত্থান হবে না?’

সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী এসব কথা বলেন।

‘করোনাকালীন বাজেটে মৎসজীবী খাতকে উপেক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে সীমাহীন দুর্নীতি-লুটপাট এবং অনিয়ম ও অব্যস্থাপনার প্রতিবাদে’ জাতীয়তাবাদী মৎসজীবী দল এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

সাম্প্রতিক উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মুখপাত্র বলেন, ‘ভোট কেন্দ্রে ভোটাররা নেই নির্বাচন কমিশন বলে দিল- সুষ্ঠু ভোট হয়েছে এবং ৪০-৭০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। অথচ ভোট কেন্দ্রে ভোটার নেই। চতুষ্পদ জন্তু ঘুরে বেড়াচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্র চাপের মধ্যেও, হুমকির মধ্যেও এগুলো প্রকাশ করেছে। এমনকি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোও এগুলো প্রকাশ করেছে। তাহলে এই সমাজে সাহেদদের উত্থান হবে না কেন? যারা ভোট নিয়ে জালিয়াতি করে তারা মানুষের অসুস্থতা নিয়ে জালিয়াতি করবে না কেন?’

রিজভী বলেন, ‘ডানে-বামে যা ঘটছে তার প্রতিবাদ না করলে রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা জনগণের প্রতি যে দায়িত্ব, সে দায়িত্ব আমরা পালন করছি না। একটি সরকার জনগণের সমর্থন ছাড়া ক্ষমতায় থাকলে এ রকম সাহেদদের উত্থান হবে, সাবরিনার উত্থান হবে, সম্রাটের উত্থান হবে।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘আজকে করোনা পরীক্ষা করার মানুষের সংখ্যা কমে গেছে কেন? আমরা তো হাতে গোনা দুই একটা হাসপাতালের কথা জানি, কিন্তু এরকম আরও যে কত হাসপাতালে মানুষের জীবন নিয়ে অনাচার চলছে তার কোনো ইয়াত্তা নেই।’

বিএনপি মুখপাত্র বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত মানুষের যদি নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেওয়া হয় আর যার করোনা হয়নি তাকে যদি পজিটিভ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়, তাহলে এই দেশ কিসের ওপর চলছে আপনারা নিজেই বলুন।’

এছাড়া সমুদ্রে মৎস আহরণ প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমার দেশের সীমানায় ঢুকে অন্য দেশ মাছ ধরে নিয়ে যায় তাহলে আমার দেশের সার্বভৌমত্ব কোথায়? আমার মাছ আমি খেতে পারবো না, অন্য দেশ এসে ধরে নিয়ে যাবে।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাহাতাবের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে সংগঠনের সদস্য সচিব আবদুর রহিম এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।