জুলাই ২৭, ২০২৪

আমাদের সম্পর্কে আরো জানুনঃ

সাবমেরিন ক্যাবল কাটা পড়ার ঘটনায় দুইজন গ্রেফতার

উন্নয়ন ডেস্ক –

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি কুয়াকাটা ল্যান্ডিং স্টেশনের (সিমিউই-৫) পাওয়ার ক্যাবল কাটা পড়ার ঘটনায় মহিপুর থানায় মামলা হয়েছে। রোববার দিবাগত রাত ৩টায় কুয়াকাটা সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের সিকিউরিটি অফিসার মো. হারুন অর রশিদ মৃধা বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

এ ঘটনায় মহিপুর থানা পুলিশ সোমবার সকালে কুয়াকাটার আলীপুর থেকে ব্যবসায়ী ও প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক আবুল হোসেন ওরফে হোসেন মোল্লা ও তার ব্যবসায়িক পার্টনার আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে।

ওই মামলায় পাঁচজনের নামসহ অজ্ঞাত তিনজনকে নিয়ে মোট আটজনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করা হয়।

এদিকে রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাময়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সংযোগ স্থাপনের মধ্য দিয়ে সারাদেশের ইন্টারনেট সেবা সচলের ব্যবস্থা নেয়া হয় বলে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান জানিয়েছেন। তবে সংযোগ আপাতত পুনরুদ্ধার হলেও পুরোপুরি সচল করতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে বলে ওই কর্মকর্তার দাবি।

কুয়াকাটা সাবমেরিন ক্যাবলের ল্যান্ডিং স্টেশন সূত্র এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা মিডিয়াকে জানান, লতাচাপলী ইউনিয়নের আলীপুর বাজার সংলগ্ন কোল্ডস্টোরেজ এলাকায় কুয়াকাটা পৌর মেয়র আ. বারেক মোল্লা ও লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লার ভাই আবুল হোসেন মোল্লার নেতৃত্বে কয়েকজন ব্যবসায়ীর ব্যক্তি উদ্যোগে একটি জমির উন্নয়নকাজ করছিলেন। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত না করে খননযন্ত্র দিয়ে কাজ করার সময় ল্যান্ডিং স্টেশনের পাওয়ার ক্যাবল কেটে ওই সময় আগুন ধরে যায়।

এরপর তারা কাজ ফেলে চলে গেলেও ততক্ষণে কুয়াকাটা ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে সারাদেশের ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

মামলার বাদী কুয়াকাটা সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের সিকিউরিটি অফিসার হারুন অর রশিদ মৃধা জানান, তাদের কোনো প্রকার অবহিত না করে বেড়িবাঁধ লাগোয়া মাটির তলায় খননযন্ত্র ব্যবহার করে কাজটি করতে গিয়ে এমন সংকট তৈরি হয়েছে।

সংযোগ কাটা পড়ে প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর্যন্ত কুয়াকাটা সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ থাকায় কি পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে কুয়াকাটা সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের ইনচার্জ ডিজিএম মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, সংযোগ পুনঃস্থাপনে প্রায় আট লাখ টাকা খরচ হবে। এছাড়া ১৩ ঘণ্টায় পার সেকেন্ডে ৭৬০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার বন্ধ থাকার ফলে বিএসসিসিএল’র কত টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে এটি এখনও নিরূপণ করা যায়নি।

এ বিষয়ে মহিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জমান বলেন, সাবমেরিনের ক্যাবল কাটার ঘটনায় সোমবার রাত ৩টার দিকে একটি মামলা হয়েছে। আমরা সোমবার সকালে দুজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছি।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Pinterest
Reddit