স্পোর্টস ডেস্ক:
বাফুফের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তরফদার মো. রুহুল আমিন। ফলে ধারণা করা হচ্ছিল, আগামী এপ্রিলে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হচ্ছেন কাজী মো. সালাউদ্দিন। কিন্তু না! সবার ধারণা ভুল প্রমাণ করে সভাপতি পদে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন বর্তমান সহ-সভাপতি বাদল রায়।
বৃহস্পতিবার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন তিনি। বাংলাদেশ দলের সাবেক তারকা ফুটবলার বলেন, কেউ সভাপতি পদে না দাঁড়ালে আমি নিজেই দাঁড়াব।
তিনি বলেন, আমি নতুন জীবন পেয়েছি। এ অবস্থাতেও ফুটবলের উন্নয়নে কাজ করছি। সাফ ফুটবলে এর প্রমাণ আছে। আমি এ ভালো তো, এ খারাপ। তবে প্রতিবাদ করতেই আমার জন্ম। ফুটবলের খারাপ কিছু আমার সহ্য হয় না। বিগত দিনে কী পেয়েছি আমরা। বহু পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
বাদল রায় বলেন, বহুবার সালাউদ্দিন ভাইকে বসতে বলেছি। একাডেমি করার প্রস্তাব ছিল আমার। বেশ কিছু পরিকল্পনা তৈরি করেছি। দুঃখ লাগে, সেগুলোর একটারও বাস্তবায়ন হয়নি। সিলেটে অনূর্ধ্ব-১৬ দল চ্যাম্পিয়ন হলো। পরে সবাই হারিয়ে গেল। সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও মেয়েদের ফুটবল টুর্নামেন্ট এখন নিয়মিত হয় না। ছেলেদের ফুটবলে কোনো উন্নয়ন নেই। কাজী সালাউদ্দিনের সাংগঠনিক দক্ষতা নেই বললেই চলে। উনি শুধু চেয়ারটা উপভোগ করেন।
তিনি বলেন, তরফদার সাহেব এলেন। এসেই শেখ কামালকে স্মরণ করলেন। তার নামে টুর্নামেন্ট আয়োজন করলেন। সালাউদ্দিনকে কখনও শেখ কামালের নাম মুখে নিতে শুনিনি। উনি নাকি কামালের বন্ধু। আমি তরফদারকে সমর্থন করি। কারণ, তিনি এগিয়ে আসেন, অর্থ দেন, তাকেই তো সমর্থন করব। নাকি যিনি ফুটবল ধ্বংস করেছেন তাকে করব?
বর্ষীয়ান এ ফুটবলার আরো বলেন, তরফদারের সিদ্ধান্তে আমি হতবাক। ফুটবল তো মরে গেছে, এখন কেবল কবর দেয়া বাকি। চাপ দিয়ে সালাউদ্দিন বসিয়ে দিলেন তরফদারকে। চাপ তো আমিও দিতে পারি। আমি এখনও কাজের জন্য ফিট। চেয়েছি কাজ করতে, কিন্তু পারিনি। উনাকে আর সময় দেয়া যাবে না। সবার মতো আমিও চাই নতুন নেতৃত্ব আসুক। আসুন সবাই মিলে একজনকে নিয়ে আসি। আশা করি, কেউ দাঁড়াবে। সভাপতি পদে নতুন কেউ প্রার্থী না হলে আমি নিজেই দাঁড়াব। #