উন্নয়ণ ডেস্ক –
কক্সবাজারের টেকনাফে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা ওসি প্রদীপ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত ও এসআই নন্দ দুলালের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি।
সোমবার বেলা ২ টার পর সাক্ষ্য নেয়া শেষ করে তদন্ত কমিটি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার কারা সুপার মোহাম্মদ মোকাম্মেল হোসেন। এছাড়া আজ একই দিনে র্যা ব হেফাজতে রিমান্ডে থাকা সাত আসামির সাক্ষগ্রহণেরও কথা রয়েছে।
সোমবার তাদের সাক্ষ্য নিতে কক্সবাজার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, কক্সবাজারের জেল সুপার মোহাম্মদ মোকাম্মেল হোসেন ও সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যায় দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যা ব-১৫ এর সহকারী পরিচালক, সিনিয়র পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে তদন্ত কমিটি থেকে এ বিষয়ে পত্র দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়টি জানান কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (যুগ্মসচিব) মো. মিজানুর রহমান।
তদন্ত কমিটি জানায়, টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী, এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতকে কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপারের সহায়তায়
জেল কোড অনুযায়ী কারা ফটকে এনে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তাদের বক্তব্য গ্রহণ করা হয়। বেলা ১১টার দিকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বেলা ২ টার পর।
তদন্ত কমিটির আহবায়ক ও চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. মিজানুর রহমান বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের
বেধে দেয়া সময় আগামী ২৩ আগস্ট রোববারের মধ্যেই প্রতিবেদন জমা দেয়ার টার্গেট নিয়ে তদন্ত কমিটি পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
আশা করছি বেধে দেয়া সময়ের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা হবে। এই পর্যন্ত সিনহা হত্যা মামলায় ৬০ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটিকে দেয়া গাইডলাইন অনুযায়ী, ঘটনার উৎস, ঘটনার কারণ, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় করণীয় সম্পর্কে প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হবে।