উন্নয়ন ডেস্ক –
জুলাই ২৯, ২০২০
সৌদি আরবের মক্কায় শুরু হয়েছে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের আবশ্যকীয় ইবাদত হজের আনুষ্ঠানিকতা। করোনা মহামারীর কারণে এবার ইসলাম ধর্মের ‘চতুর্থ স্তম্ভ’ হজের কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে। আজ বুধবার থেকে শুরু হওয়া মুসলমানদের বৃহত্তম জমায়েত হিসেবে পরিচিত এই হজে এবছর অংশ নিচ্ছেন সীমিতসংখ্যক মানুষ। যাদের ৩০ শতাংশ সৌদি নাগরিক এবং ৭০ শতাংশ সৌদিতে বসবাসরত বিদেশী মুসলমান।
ইসলাম ধর্মমতে, শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য জীবনে একবার হজ সম্পাদন করা ফরজ বা আবশ্যিক। প্রতিবছর বার্ষিক এই সম্মেলনে সারাবিশ্ব থেকে ২০ লাখের মতো মুসলমান অংশ নিয়ে থাকেন। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সবমিলিয়ে এবছর ১০ হাজারের মতো লোক হজে অংশ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে ২ আগস্ট।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতেই এবার বিদেশিদের হজ্জে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করেছে সৌদি আরব সরকার। সৌদি নাগরিক এবং দেশটিতে থাকা বিদেশী যারা অংশ নিচ্ছেন তাদেরও কিছু কঠোর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। যেমন, শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা, করোনাভাইরাস পরীক্ষাসহ নানা কিছু। হজে অংশগ্রহণকারীরা এ সপ্তাহের শুরু থেকেই মক্কায় আসতে শুরু করেন। আবার হজ পালনের আগে ও পরে কোয়ারেন্টিনে থাকার বাধ্যবাধকতা ছিল তাদের।
হজ্জ বিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ সালেহ বিনতেন সৌদির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিভিশন চ্যানেল আল-অ্যারাবিয়াকে বলেছেন, হাজীদের মক্কার হোটেলে চারদিনের কোয়ারেন্টিনে রাখার আগে আবার তাদের বাসায়ও কোয়ারেন্টিন করানো হয়েছে।
সৌদি আরবে কভিড-১৯ আক্রান্ত ২ লাখ ৭০ হাজার, যা কিনা মধ্যপ্রাচ্যে সংক্রমণে দিক থেকে অন্যতম শীর্ষে। দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার মানুষের।
সৌদি আরবে গত মাসেই কেবল দেশব্যাপী লকডাউন তুলে নেয়া হয়। সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে গত মার্চে লকডাউন কার্যকর করা হয়েছিল। কিছু কিছু শহর ও নগরে ২৪ ঘণ্টার কারফিউও দেয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, আরবি জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখ হজের জন্য নির্ধারিত সময়। হজ্জ পালনের জন্য সৌদি আরবের মক্কা নগরী এবং মিনা, আরাফাত, মুযদালিফা প্রভৃতি স্থানে গমন ও অবস্থান আবশ্যক।
সূত্র: বিবিসি