সুইস অথরিটির কাছে তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ

উন্নয়ন ডেস্ক –

বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ বিষয়ে জানতে সুইস অথরিটির কাছে তথ্য চেয়ে আবেদন করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। গতকাল শনিবার (১৮ জুন) বাংলাদেশে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধে বিএফআইইউর ২০ বছর শীর্ষক সেমিনারে এমন কথা জানিয়েছেন বিএফআইইউ অতিরিক্ত পরিচালক মো. কামাল হোসেন। রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকে থাকা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অর্থের বিষয়ে ২০১৪ সাল থেকে তথ্য প্রকাশ করে আসছে ব্যাংকটি। এ বিষয়ে এক উপস্থাপনায় কামাল হোসেন বলেন, সুইস অথরিটির কাছে প্রতিবারের ন্যায় এবারও তথ্য চাওয়া হয়েছে বিএফআইইউ-এর পক্ষ থেকে। তিনি বলেন, পাচার করা অর্থ উদ্ধার জটিল কাজ। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের ৬৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অর্থ সম্পর্কে তথ্য পেয়েছে বিএফআইইউ সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের কাছ থেকে। সেই তথ্য বাংলাদেশের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, দুদক ও তদন্তকারী সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে।

সেমিনারে জানানো হয়, এ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে ৮০০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আর্থিক তথ্য সংগ্রহ করেছে বিএফআইইউ। বাংলাদেশ থেকে মূলত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, হংকং, দুবাই, সিঙ্গাপুর ও ইউরোপের দেশগুলোতে অর্থপাচার হয় বলে সেমিনারে জানানো হয়। সেমিনারে উপস্থাপন করা তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) গত এপ্রিল পর্যন্ত তদন্তাধীন ৯টি মামলার বিপরীতে ৮৬৬ কোটি টাকা ক্রোক করা হয়েছে বিএফআইইউ-এর প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে। বাজেয়াপ্তকৃত অর্থ থেকে সরকারের কোষাগারে জমা পড়েছে ২৭ কোটি টাকা।

আর আগের অর্থবছরে সাত মামলার বিপরীতে ৩৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ক্রোক করা হয় আদালতের নির্দেশে। গত পাঁচ বছরে ৬৩টি তদন্তাধীন মামলার বিপরীতে টাকা ক্রোক করা হয়েছে ১ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের কোষাগারে জমা হয়েছে ১ হাজার ২৭৩ কোটি টাকা।

বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের সভাপতিত্ব সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ।