স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে: স্বাস্থ্য সচিব

উন্নয়ন ডেস্ক –

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। আবুল কালাম আজাদের পদত্যাগপত্র জনপ্রশাসনে গৃহীত হলে পরবর্তী পদক্ষেপ অনুযায়ী সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে নিয়োগ সম্পন্ন হবে- এমনটি জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান।

আজ বুধবার (২২ জুলাই) সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।

এসময় স্বাস্থ্য সচিব বলেন, ‘নতুন করে কে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোন তথ্য নেই। এই প্রক্রিয়াটা জনপ্রশাসন থেকেই হবে। সরকার নাম দিলে পরে জনপ্রশাসন থেকে অর্ডার হয়।’

এর আগে, স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থাপনা আর অনিয়মের তুমুল সমালোচনার মধ্যে পদত্যাগ করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল কালাম আজাদ। মঙ্গলবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যার পর জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।

করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই নানা কারণেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন আবুল কালাম আজাদ। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে ব্যর্থতার পাশাপাশি কেনাকাটা ও নিয়োগে সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতি সামাল দিতে না পারাসহ নানা অব্যবস্থাপনার দায়ে ডা. আজাদকে নিয়ে সরকারি মহলসহ দেশব্যাপী সমালোচনা চলছিলো। স্বাস্থ্যখাতে বিভিন্ন অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার জন্য বিভিন্ন মহল থেকেই তার পদত্যাগের দাবি ওঠে। একের পর এক স্বাস্থ্য বিভাগের অব্যবস্থাপনার খবর সংবাদ শিরোনাম হয়। তবে, অব্যবস্থাপনার সংবাদ ছাপিয়ে যায় করোনা মহামারিতেও স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতির নানা চিত্র।

করোনার স্থায়িত্বকাল নিয়ে অদায়িত্বশীল বক্তব্য প্রদান, করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে দায়িত্ব পালনকারী চিকিৎসক-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকা-খাওয়ার অব্যবস্থাপনা, মাস্ক-গ্লাভস-পিপিইসহ বিভিন্ন সুরক্ষা সামগ্রী কেনাকাটা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা সহ সর্বশেষ লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল রিজেন্টের সঙ্গে চুক্তি ও অনুমোদনহীন জেকেজিকে দিয়ে করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করার ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনায় বিদ্ধ হন পদত্যাগ করা মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ। তিনি ২০১৬ সাল থেকে এই পদে বহাল ছিলেন। এরমধ্যে চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়। আগামী বছরের ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত মহাপরিচালক পদে মেয়াদকাল ছিলো ডা. আজাদের।