আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ট্রেনের আসন সংখ্যার ২৫ শতাংশ টিকিট স্টেশনের কাউন্টার থেকে বিক্রি হবে। ট্রেনের সব টিকিট অনলাইনে বিক্রির সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে রেলওয়ে। গতকাল সোমবার রেলের উপপরিচালক (টিসি) নাসির খানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) কালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সরকারি নির্দেশনায় অর্ধেক আসন খালি রেখে চলছে যাত্রীবাহী ট্রেন। ধারণ ক্ষমতার ৫০ শতাংশের পুরো টিকিট বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে এই নিয়মে পরিবর্তন আসছে। ওই দিন থেকে ধারণ ক্ষমতার ২৫ শতাংশ টিকিট অর্থাৎ মোট টিকিটের অর্ধেক কাউন্টার থেকে বিক্রি হবে। তবে আন্তঃনগর ট্রেনে স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করা হবে না। দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়া হবে না। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত অর্ধেক আসন খালি থাকবে ট্রেনে। রেলের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, টিকিট ইস্যু করার অন্যান্য নিয়ম অপরিবর্তিত থাকবে।
বর্তমানে প্রতিটি ট্রেনে মোট আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হচ্ছে। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে এই ৫০ শতাংশ টিকিটের অর্ধেক অর্থাৎ মোট আসন সংখ্যা ২৫ শতাংশ আসন কাউন্টারের মাধ্যমে বিক্রি করা যাবে এবং বাকি অর্ধেক ২৫ শতাংশ মোবাইল অ্যাপ, অনলাইন ও মোবাইলে ইস্যু করা যাবে। টিকিট ইস্যুর উল্লিখিত সংশোধনীগুলো আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোনও স্টেশনের অনুকূলে কোনও নির্দিষ্ট শ্রেণিতে বর্তমান নিয়মে বিক্রয়কৃত মোট আসনের ৫০ শতাংশ টিকিটের সংখ্যা ৬টির বেশি হলে কাউন্টার, অ্যাপ, অনলাইন ও মোবাইলের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। টিকিটের সংখ্যা অনধিক ৬টি হলে তা শুধু অ্যাপ, অনলাইন ও মোবাইলের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি ট্রেনে মোট আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশ টিকিট থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুকূলে সংরক্ষিত থাকা ২ শতাংশ আসন বাদ দিয়ে হিসাব করতে হবে। কাউন্টার ও অ্যাপ, অনলাইন ও মোবাইল কোটায় বিক্রি না হওয়া টিকিট যাত্রার ১২০ ঘণ্টা আগে যে কোনও মাধ্যম থেকে ইস্যু করা যাবে।
সকাল ৮টা থেকে কাউন্টারের মাধ্যমে এবং বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৬টা থেকে অ্যাপ, অনলাইন ও মোবাইলের মাধ্যমে টিকিট ইস্যু করা হবে। বর্তমানে সব মিলিয়ে মোট ৬৭ জোড়া, অর্থাৎ ১৩৪টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে বিভিন্ন রুটে।