আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করার নির্দেশ ২৩ জেলায়

উন্নয়ন ডেস্ক –

দেশের ২৩টি জেলায় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছে সরকার। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে নতুন করে জেলাগুলো প্লাবিত হওয়ার শঙ্কায় এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয় থেকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

জেলাগুলো হল রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, রাজবাড়ী, শরিয়তপুর, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, চাঁদপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর ও নওগাঁ।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কঠিন সময় মোকাবেলা করছে। আমরা আম্পান মোকাবেলা করলাম, এরপরেই ২৬ জুন থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত স্বল্পমেয়াদী বন্যা মোকাবেলা করছি। ৭ জুলাই থেকে ১২টি জেলায় বন্যা অনেকটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি চলে এসেছে।

তিনি জানান, আগামী ১০ বা ১১ জুলাই থেকে আবারও পানি বাড়বে। ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, পদ্মা ও মেঘনা নদীর পানি বাড়ায় ২০ থেকে ২৪টি জেলা প্লাবিত হবে। এবার বন্যার স্থায়িত্ব দীর্ঘায়িত হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন করে বন্যার পূর্বাভাস পেয়ে বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সভা করা হয়েছে। বন্যায় এবার বেশি এলাকা প্লাবিত হবে, তাই মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার বিষয়ে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। সেজন্য আমরা নির্দেশনা দিয়েছি, ডিসিরা যেন বেশি বেশি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করেন। কারণ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ চলছে, এই পরিস্থিতিতে যাতে সামজিক দূরত্ব বজায় রাখা যায়। আশ্রয়কেন্দ্রে মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছি।

ওই ২৩টি জেলায় সরকারের পূর্ব প্রস্তুতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, জেলাগুলোতে ২০০ মেট্রিক টন করে চাল, দুই হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার ও শিশু খাদ্যের জন্য দুই লাখ টাকা, গো-খাদ্যের জন্য দুই লাখ টাকা এবং নগদ তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া পানি বাড়লেও মাঠ প্রশাসন যেন ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াতে পারে, সেই প্রস্তুতিও নেয়া হচ্ছে বলে জানান ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।