ইতালির পর ‘লকডাউন’ ফ্রান্স

বিদেশ ডেস্ক:
করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে ইউরোপের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ‘লকডাউন’ ঘোষণা হল ফ্রান্সেও।

সোমবার (১৬ মার্চ) ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ আপাতত ৩০ দিন নাগরিকদের ‘ঘরবন্দি’ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে করোনা আক্রান্ত ২১ জনের মৃত্যু এবং ১২০০ জনেরও বেশি নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার পরেই তড়িঘড়ি এই ঘোষণা করা হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়, ‘‘জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বেরনো যাবে না।’’ নিয়ম ভাঙলে শাস্তির হুঁশিয়ারিও দেয়া হয়েছে ফরাসি প্রেসিডেন্টের ঘোষণায়।

চীনের পর করোনার সংক্রমণ সবচেয়ে ভয়াবহ আকার নিয়েছে ইতালিতে। ইউরোপের মধ্যে এবার ফ্রান্সে ভয়াবহ গতিতে ছড়াচ্ছে করোনা প্রকোপ। দেশে এখনও পর্যন্ত ১৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে আক্রান্ত ৬ হাজর ৬৩৩ জন। রোববার (১৫ মার্চ) থেকে সোমবার (১৬ মার্চ) পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২১০ জন। এর মধ্যে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২ জন। সংক্রমণ রুখতে আগে থেকেই স্কুল-কলেজ, সিনেমা হল, শপিংমল, রেস্তোরাঁ-পানশালা সব বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

কিন্তু যেভাবে ঝড়ের গতিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে, তা উদ্বেগজনক। সেই সঙ্গে ইতালির শিক্ষা নিয়ে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি ফরাসি প্রশাসন। জাতির উদ্দেশে ২২ মিনিটের ভাষণে ম্যাক্রঁ বলেন, ‘অত্যন্ত কঠোরভাবে অন্তত ১৫ দিনের জন্য চলাফেরায় নিয়ন্ত্রণ জারি করা হচ্ছে।’’ সামাজিক বা পারিবারিক জমায়েতও নিষিদ্ধ।

একই সঙ্গে তিনি জানান, শুধু নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনাকাটা, ওষুধ কেনা বা হাসপাতালে যাওয়া, কর্মক্ষেত্রে যাওয়া-আসা ছাড়া বাইরে বেরনো যাবে না।

ফরাসি প্রেসিডেন্টের পরে সেখানকার অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী ক্রিস্টোফি কাসনার বলেন, বাইরে বেরোলে সেটা যে জরুরি প্রয়োজনে, তা প্রমাণ করার জন্য অবশ্যই নথি রাখতে হবে। এই নতুন নিয়ম কার্যকর করার জন্য ১ লাখ নিরাপত্তা কর্মী রাস্তায় মোতায়েন করা হচ্ছে। যারা এই গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ মানবেন না, তাদের ১৩৫ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) থেকেই ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সমস্ত সীমান্ত কার্যত সিল করে দেয়া হয়েছে। ৩০ দিনের জন্য বন্ধ থাকবে সমস্ত সীমান্ত। তবে ইউনিয়নের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকদের নিজের দেশে ফেরার অনুমতি দেয়া হবে। আনন্দবাজার। #