উন্নয়ন ডেস্ক –
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নাম ব্যবহার করে ‘বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারীদের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলটির সভাপতি কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ।
সোমবার এ বিষয়ে ইসিতে ৪ পৃষ্ঠার অভিযোগ জমা দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর এফডিসি সংলগ্ন এলডিপির পার্টি অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট ড. আওরঙ্গজেব বেলাল।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, শাহাদাত হোসেন সেলিম নিজেকে মহাসচিব উল্লেখ করে বিভিন্ন অপরাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। তারা সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে একটি নিবন্ধিত ও প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী ও বেআইনি কাজ করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। এলডিপির সুনাম ও ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষতি করছে। এলডিপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী ও বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারীদের অবৈধ কর্মকাণ্ড অনতিবিলম্বে বন্ধ করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে এই দুষ্কৃতিকারীদের এলডিপির নেতা পরিচয় দিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানাই।
এলডিপির অপর অংশের নেতা শাহাদাত হোসেন সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বলার অপেক্ষা রাখে না যে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এলডিপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমসহ কয়েকজন নেতাকর্মী দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ, বিশেষ করে আমেরিকা বাংলাদেশী প্রবাসীদের প্রলুদ্ধ করে, প্রতারণার আশ্রয়ে দলীয় প্যাডে প্রত্যয়ন পত্র প্রদানের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার কারণে বিগত ২০১৯ সালের ২৬ অক্টোবর এলডিপি-র জাতীয় কাউন্সিলে অনুপস্থিত থেকে নির্বাচিত হতে পারেনি। পরবর্তীতে দলীয় সিদ্ধান্তে তাকে বহিষ্কার করা হয়। এলডিপি এর সঙ্গে তাদের কোন সম্পর্ক নাই। সেই আক্রোশে ক্ষুদ্ধ হয়ে তারা এলডিপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারে লিপ্ত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মাহমুদ মোর্শেদ, ড. নেয়ামুল বশির, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম প্রমুখ।
