ড্যাপ নিয়ে যৌক্তিক পরামর্শ থাকলে বিবেচনা করা হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বছরের শেষে এসে আবার শুরু হলো আবাসন মেলা। এবারের মেলায় অংশ নেওয়া শতাধিক আবাসন প্রতিষ্ঠান রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার অ্যাপার্টমেন্ট, বাণিজ্যিক স্পেস বা জায়গা ও প্লট প্রকল্প প্রদর্শন করছে। তাদের মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠান মেলায় অ্যাপার্টমেন্ট, বাণিজ্যিক জায়গা ও প্লট বুকিং দিলে মূল্যছাড় দিচ্ছে।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২১ ডিসেম্বর বুধবার পাঁচ দিনব্যাপী আবাসন মেলা শুরু হয়েছে। রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) আয়োজিত মেলাটির উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে ড্যাপের (ঢাকার নতুন বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা) সভাপতি বানিয়েছেন। আমি আস্থা নিয়ে বলছি, ড্যাপ প্রণয়নের কাজে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ছিলাম। তাই কেউ আমাকে শত্রু ভাববেন না। আমি আপনাদেরই একজন। ড্যাপ নিয়ে আপনাদের যৌক্তিক পরামর্শ থাকলে তা অবশ্যই বিবেচনা করা হবে।’
রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, ‘দেশের আবাসন খাত বিভিন্ন সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নতুন যুক্ত হয়েছে ড্যাপ নিয়ে সমস্যা। সব মিলিয়ে আবাসন খাতের ব্যবসায়ীরা হতাশ।’ মন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনি কথা দিয়েছেন, যেসব ক্ষেত্রে ফ্লোর এরিয়া রেশিও (এফএআর) বাড়ানো যুক্তিসংগত হবে, তা বিবেচনা করা হবে। এতে ব্যবসায়ীরা আশ্বস্ত হয়েছেন। এ ছাড়া ড্যাপ নিয়ে আরও কিছু প্রস্তাব ব্যবসায়ীরা দিয়েছেন। আশা করব, সেসব সমস্যার সমাধান করবেন।’
উদ্বোধনের পরপরই অল্পসংখ্যক ক্রেতা-দর্শনার্থী মেলা প্রাঙ্গণে আসেন। বিকেলে সেই সংখ্যা কিছুটা বাড়ে। দুপুরে মেলায় আসেন শ্যামলীর বাসিন্দা তিশামা মাহবুব। তিনি বলেন, ‘ফ্ল্যাটের দাম অনেক বেশি মনে হচ্ছে। দুই-তিন মাস আগেও দাম অনেক কম ছিল। তাই ছোটখাটো কোনো প্রকল্প থেকে অ্যাপার্টমেন্ট কেনার চেষ্টা করছি।’
আবাসন খাতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান শেল্টেক্ এবারের মেলায় অ্যাপার্টমেন্ট ও বাণিজ্যিক জায়গার ২৩টি প্রকল্প নিয়ে এসেছে। সেসব প্রকল্পের প্রায় ৩০০টি অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রির জন্য প্রদর্শন করবে তারা। শিশুদের খেলার জায়গাসহ কমিউনিটিভিত্তিক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা মিলবে শেল্টেকের অধিকাংশ প্রকল্পে।
শেল্টেকের জ্যেষ্ঠ সহকারী মহাব্যবস্থাপক এ কে এম রফিউল ইসলাম বলেন, ‘শেল্টেক্ সব সময় সাশ্রয়ী আবাসনে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। অ্যাপার্টমেন্টের দাম গ্রাহকের নাগালের মধ্যে রেখে সর্বোচ্চ মানের পণ্য নিশ্চিত করার চেষ্টা করি আমরা।’

মেলায় ১ হাজার ২০০ অ্যাপার্টমেন্ট ও ৩৩ লাখ বর্গফুট আয়তনের বাণিজ্যিক জায়গার প্রকল্প নিয়ে এসেছে রূপায়ন সিটি উত্তরা। রাজধানীর উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টর এলাকাসংলগ্ন সোনারগাঁও জনপদ সড়কে ১৫০ বিঘা জমিতে গড়ে উঠেছে এই আবাসন প্রকল্প।
প্রকল্প সম্পর্কে রূপায়ন গ্রুপের কো-চেয়ারম্যান মাহির আলি খান বলেন, পরিকল্পিত আবাসন প্রকল্পে উন্নত মানের সব নাগরিক সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁর আশা, গ্রাহকেরা মেলা থেকে কোম্পানির আবাসন প্রকল্প সম্পর্কে জেনে সরেজমিন যাচাই করবেন।