প্রধানমন্ত্রী : মানবপাচারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার

উন্নয়ন ডেস্ক –

ঢাকা: সরকার মানবপাচারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দেশে-বিদেশে অবস্থানরত মানবপাচারকারীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

বুধবার (৮ জুলাই) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার মানবপাচারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ইতোমধ্যে মানবপাচারের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির মুখোমুখি করা হয়েছে। দেশে-বিদেশে অবস্থানরত অন্যদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই।

সরকারি দল আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে বিভিন্ন দেশে কর্মহীন হয়ে পড়া বাংলাদেশিরা যাতে করোনা পরবর্তী সময়ে পুনরায় কর্মে নিয়োগ পেতে পারেন, সেজন্য বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনের শ্রম কল্যাণ উইংয়ের মাধ্যমে আমরা দুস্থ ও কর্মহীন হয়ে পড়া প্রবাসী কর্মীদের মধ্যে প্রায় ১১ কোটি টাকার ওষুধ, ত্রাণ ও জরুরি সামগ্রী বিতরণ করেছি।

করোনার কারণে চাকরিচ্যুত হয়ে কিংবা অন্য কোনো কারণে বিদেশ ফেরত কর্মীদের সহজ শর্তে ঋণ দিতে এরই মধ্যে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের অনুকূলে ৫০০ কোটি টাকার বরাদ্দ অনুমোদন করেছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বিদেশ থেকে আসা কর্মীদের এবং প্রবাসে করোনায় মৃতদের পরিবারের উপযুক্ত সদস্যকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে বিনিয়োগ ঋণ দিতে আমরা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে ২০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছি। এ সংক্রান্ত নীতিমালা এরই মধ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে।

ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী শুধুমাত্র বৈধ ও নিবন্ধিত অভিবাসী মৃত কর্মীর পরিবারকে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের তহবিল থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ তিন লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়। করোনা মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় বর্তমানে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুবরণকারী নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত নির্বিশেষে সব প্রবাসী কর্মীর পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য আমরা তিন লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে প্রবাসী শ্রমিকদের ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য কূটনৈতিক চাপ অব্যাহত রয়েছে। তবে এ চাপ প্রশমিত করার জন্য আমাদের সরকার বিভিন্নমুখী কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়েছে, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি আরো বলেন, চলাচলের অনুমতির বিষয়ে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং কুটনৈতিক তৎপরতার অংশ হিসেবে আমি কতিপয় রাষ্ট্র প্রধান/সরকার প্রধানের কাছে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছি।