‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত এক কোটি ইয়াবা লুটকারী সেই মিজান

উন্নয়ন ডেস্ক –

কক্সবাজার শহরের মাঝিরঘাটে খালাসের সময় এক কোটি ইয়াবা লুটের মূলহোতা বেনাপোল থেকে আটক মিজান ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে।
সোমবার ভোরে শহরের মাঝিরঘাটস্থ খুরুশকুল ব্রিজের পাশে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

নিহত মিজান শহরের টেকপাড়ার গোলাম মাওলা বাবুল প্রকাশ জজ বাবুলের ছেলে।

কক্সবাজার সদর থানার ওসি সৈয়দ আবু মো. শাহজাহান কবির যুগান্তারকে জানান, সোমবার ভোরে এক কোটি ইয়াবা লুটকারী মিজানকে নিয়ে ইয়াবা উদ্ধারে গেলে খুরুশকুল ব্রিজের পাশে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা তার সঙ্গীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে এবং মিজানকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে।

এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। আর মিজান গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১০ হাজার ইয়াবা এবং দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

জানা যায়, ৮ ফেব্রুয়ারি এক কোটির একটি ইয়াবার চালান খালাসের সময় লুট করে শহরের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী মিজান বাহিনী। একপর্যায়ে চালানটি লুটের পর মিজান ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লুটকৃত ইয়াবাগুলো বিক্রি করে।
পরে ২০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম থেকে রাতে বিমানযোগে ভারত পালিয়ে যায় ইয়াবা লুটের প্রধান হোতা। মিজানের মোবাইলের সিডিএমএস পর্যাবেক্ষণ ও বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের সঙ্গে কথা বলে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার খবর নিশ্চিত হয় পুলিশ।

এদিকে ইয়াবা লুটকারী দেশত্যাগ করলেও কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম, মিজান পুনরায় দেশে ঢোকার সময় আটক করে কক্সবাজার জেলা পুলিশকে অবগত করার জন্য সব ইমিগ্রেশনকে চিঠি দেয়।
দীর্ঘ ৫ মাস পর মিজান সড়কপথে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করার সময় শুক্রবার বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে কক্সবাজার জেলা পুলিশকে অবগত করে।

পরে জেলা পুলিশের একটি টিম তাকে সেখান থেকে নিয়ে আসে। কক্সবাজারে এনে মিজানকে তিন দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে ইয়াবা উদ্ধারে গেলে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় মিজান।

কক্সবাজার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম বলেন, মিজানকে আটকের পর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে অনেক রথী-মহারথীর খোঁজ মিলেছে।

ইয়াবা লুট এবং ভাগবাটোয়ার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তার দেয়া তথ্যমতে, দ্রুত সময়ে অভিযান চলবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।