বাংলাদেশিদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা দেবে মিশর

উন্নয়ন বার্তা ডেস্ক:
শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য অন-অ্যারাইভাল (পোর্ট এন্ট্রি) ভিসা চালু করেছে মিশর। সম্প্রতি সেদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কায়রোয় বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত হয়।

পরে মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিভিন্ন কারণে মিশর ভ্রমণ করেন বাংলাদেশিরা। এই ভ্রমণের ক্ষেত্রে তারা ঢাকায় দূতাবাস থেকে ভিসা নিতেন। তাদের এখন থেকে শর্তসাপেক্ষে অন-অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়া হবে।

যে বাংলাদেশিরা জাপান, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য বা শেনজেনভুক্ত দেশ ভ্রমণ করেছেন, তারাই মিশরের অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা পাবেন।

এ বিষয়ে মিশরে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন যাবত ঢাকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মিশরীয় দূতাবাসগুলো থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ভিসা পাওয়ার কাজ জটিল মনে হচ্ছিল। বিশেষ করে মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে ভিসা প্রার্থীদের ভিসা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হত।

‘২০ বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা সংক্রান্ত সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করার জন্য মিশরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং পরে এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ভিসা ব্যবস্থা শিথিল ও সহজীকরণ করার জন্য অনুরোধ করি।’

রাষ্ট্রদূত বলেন, দুই দিন আগে আবারও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়ে এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বাংলাদেশিদের ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে আলোচনার পর মিশরীয় কর্তৃপক্ষ কিছু শর্ত সাপেক্ষে বাংলাদেশিদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা চালু করার কথা জানান।

তিনি বলেন, বর্তমান ব্যবস্থা অনেক বাংলাদেশিকে মিশরে প্রবেশের অনুমতি দেবে। বিশেষ করে যারা কায়রো ট্রানজিট নিয়ে ইউরোপ ও আমেরিকা ভ্রমণ করতে চান তাদের জন্য সুবিধা বয়ে আনবে।

জেনে নেই অন-অ্যারাইভাল ভিসা কী? এটা কিভাবে পাওয়া যায়?
অন-অ্যারাইভাল ভিসা হচ্ছে এমন কিছু দেশে পৌঁছে ভিসা নেওয়া, যেসব দেশে যেতে কিছু দেশের নাগরিকদের দেশ থেকে রওয়ানা হওয়ার সময় ভিসার প্রয়োজন হয় না। অন-অ্যারাইভাল ভিসা মানে, যে দেশে যাবেন সে দেশের বন্দরে পৌঁছে ভিসা নিতে হবে। সাধারণত এটা আপনি এয়ারপোর্টেই পাবেন। এর সুবিধে হলো, সেক্ষেত্রে ভিসা আবেদন, কাগগপত্র জমা দেওয়া, অপেক্ষা করা বা ইন্টারভিউর মতো ঝামেলা থাকে না।

আপনি ভিসা ছাড়াই এসব দেশে যাওয়ার জন্য বিমানের টিকিট নিতে পারবেন। তারপর সে দেশের বিমানবন্দরে গিয়ে ইমিগ্রেশন অফিসারের কাছ থেকে আপনি ভিসা আবেদন করে তাৎক্ষণিক ভিসা চাইবেন।

আবার অনেক দেশের ইমিগ্রেশনে আবেদন ফরমও পূরণ করতে হয় না। ইমিগ্রশন অফিসারের কাছে পাসপোর্ট জমা দিলে ৫-৭ মিনিটের মধ্যে আপনি ভিসা পেয়ে যাবেন।