বাংলাদেশে ২১০০ জনের ওপর চালানো হবে চীনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল

উন্নয়ন ডেস্ক –

বাংলাদেশে চীনের সিনোভেক কোম্পানির তৈরি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানোর নৈতিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) এ অনুমোদন দিয়েছে।

সিনোভেকের টিকার সম্ভাব্য নাম ‘করোনাভেক’। দেশের সাতটি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর এ ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালাবে আইসিডিডিআরবি। রোববার এ অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। মোট ২ হাজার ১০০ জনের ওপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে।

বিএমআরসির পরিচালক মাহমুদ উজ জাহান সমকালকে বলেন, ‘চীনের সিনোভেক রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড কোম্পানির তৈরি টিকার তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের জন্য প্রায় এক মাস আগে আইসিডিডিআরবি আমাদের কাছে প্রটোকল জমা দিয়েছিলে। এটি ন্যাশনাল রিসার্চ এথিকস কমিটি নৈতিক অনুমোদন দিয়েছে। তারা যেসব প্রতিষ্ঠানে এই ট্রায়াল চালাবে, এখন সেগুলোর প্রশাসনিক অনুমোদন নেবে।’

তিনি জানান, আইসিডিডিআরবির জমা দেওয়া প্রটোকলে ৪ হাজার ২০০ জনের ওপর এটির প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে। তবে গবেষণার নিয়ম অনুযায়ী তাদের মধ্যে অর্ধেক টিকা পাবেন, অর্ধেক পাবেন না।

বিএমআরসির পরিচালক আরও জানান, আইসিডিডিআরবি যে সাতটি হাসপাতালে টিকা পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে অনুমোদন চেয়েছে সেগুলো হলো- মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ইউনিট-১, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুয়েত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ইউনিট-২ এবং ঢাকা মহানগর হাসপাতাল।

বিশ্বে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের মধ্যে মাত্র দুটি তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে আছে। এর মধ্যে একটি সিনোভেকের ও অন্যটি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিন।

ট্রায়ালের ক্ষেত্রে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে মানুষের জন্য ভ্যাকসিন কতটা নিরাপদ ও টিকা নির্দিষ্ট জীবাণু প্রতিরোধে কতটা কার্যকর- তা দেখা হয়। আর তৃতীয় পর্যায়ে টিকা কতটা নিরাপদ ও কার্যকর সেটা পরীক্ষা করা হয়।