উন্নয়ন বার্তা ডেস্ক:
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি, সকালে রাজধানীর মহাখালীস্থা নিপসম অডিটরিয়াম হলরুমে
জাতীয় পুষ্টিসেবা ও জনস্বাস্থ্যা পুষ্টি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আয়োজিত দেশের ৬-৫৯ মাস
বয়সী মোট ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপস্যুল খাওয়ানোর কার্যক্রমের
আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করা হয়। স্বাস্থ্যা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিাত থেকে ৬-৫৯ মাস বয়সী কয়েকজন শিশুকে লাল ও নীল
রঙের ক্যাপস্যুল খাইয়ে কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। স্বাস্থ্যা সেবা বিভাগের
সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্যা শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের
সচিব মোঃ আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্যা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাসার
মোহাম্ম্ধসঢ়;দ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্যা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোঃ
টিটো মিঞা-সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিাত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ
মালেক বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশে ৪ থেকে ৫ ভাগ শিশু রাতকানা হয়ে জন্ম নিত।
সেই হার এখন শুন্য দশমিক ১ ভাগে নেমে এসেছে। ভিটামিন-এ ক্যাপস্যুল শিশুদের জন্য
কেবল রাতকানা প্রতিরোধের জন্যই ব্যবহার হয় না, এই ক্যাপস্যুল শিশুদের মৃত্যুহার কমায়
প্রায় ২৪ ভাগ। হাম, ফাইলেরিয়ার মত অসুখ হতে পারেনা। শিশুরা সুস্থাভাবে বেড়ে ওঠে।
আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে চাই।
সোনার বাংলা করতে সোনার শিশু তৈরি করতে হবে। সেই সোনার শিশু তৈরি করতে
ভিটামিন-এ ক্যাপস্যুল খাওয়াতে হবে।
স্বাস্থ্যামন্ত্রী ভিটামিন-এ ক্যাপস্যুল খাওয়ানোর গুরুত্ব তুলে ধরে এই ভিটামিন যেন
নির্দিষ্ট বয়সের সব শিশু খেতে পারে তারজন্য আজকের দিনে সব মায়েদের নিজ নিজ
নির্দিষ্ট বয়সী শিশুকে সাথে নিকটস্ত স্বাস্থ্যা কেন্দ্র থেকে টিকা খাওয়াতে অনুরোধ
জানান।
উল্লেখ্য, ভিটামিন-এ ক্যাপস্যুল নির্দিষ্ট বয়সী শিশুদের বছরে দুবার খাওয়াতে হয়।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি দিনব্যাপী সারাদশের সকল সরকারি স্বাস্থ্যাকেন্দ্রসহ বিভিন্ন
ভ্রাম্যমান স্বাস্থ্যা কেন্দ্র হতে খাওয়ানো হবে। এর জন্য ২ লাখ ৪০ হাজার স্বাস্থ্যাসেবী ও ৪০
হাজার স্বাস্থ্যাকর্মী একযোগে দেশের ১ লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে ভিটামিন-এ ক্যাপস্যুল
খাওয়াতে কাজ করবে। ৬-১১ মাস বয়সী ২৫ লাখ শিশুকে নীল রঙের ক্যাপস্যুল এবং ১২-৫৯
মাস বয়সী ১ কোটি ৯৫ লাখ শিশুকে লাল রঙের ক্যাপস্যুল খাওয়ানো হবে।
সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন জাতীয় পুষ্টিসেবা ও জনসংখ্যা পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের লাইন
ডাইরেক্টর ডা. মোঃ আব্দুল মান্নান এবং ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যা সেবা বিভাগের
অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মজিবুল হক।