মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ কীভাবে এলো জানি না : সাহাবউদ্দিন পরিচালক

উন্নয়ন ডেস্ক –

রোববারের (১৯ জুলাই) অভিযানে রাজধানী গুলশানের সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার থেকে ২০০৯ সালসহ বিভিন্ন সময়ে মেয়াদোত্তীর্ণ পাঁচটি সার্জিক্যাল সামগ্রী (এনডোট্রাসিয়াল টিউব) উদ্ধার করে র‍্যাব। হাসপাতালটির ফার্মেসি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল বিক্রয় নিষিদ্ধ ওষুধ। তবে হাসপাতালে মেয়াদোত্তীর্ণ সামগ্রী থাকার কথা অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক (কলেজের অধ্যক্ষ) অধ্যাপক ডা. মো. জাফর উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ থাকার প্রশ্নই উঠে না। আমরা অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে রোগীদের জন্য ওষুধ ব্যবহার করি।’

সোমবার (২০ জুলাই) হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে রোববার দুপুরে করোনার চিকিৎসায় ডেডিকেটেড হাসপাতালটিতে অভিযান শুরু করে র‌্যাবের একটি দল। অভিযানে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার (ওটি) থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ সার্জিক্যাল সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। পরে এসব সার্জিক্যাল সামগ্রী যাচাই করে দেখা যায়, এগুলোর কোনোটির মেয়াদ ২০০৯ সালে আবার কোনোটির মেয়াদ ২০১১ সালে শেষ হয়েছিল। হাসপাতালটির বাকি চারটি ওপারেশন থিয়েটারে ছিল তালা মারা। এসব সার্জিক্যাল সামগ্রী অপারেশন করার সময় রোগীর গলার ভেতর ঢোকানো হয়। তবে এই সামগ্রীগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় ‘রোগীর মৃত্যুঝুঁকি’ রয়েছে।

অভিযানে অসহযোগিতা করায় সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আবুল হাসনাত ও ইনভেন্টরি অফিসার শাহজির কবির সাদিকে হেফাজতে নেয় র‌্যাব।

এসব বিষয়ে পরিচালক বলেন, ‘হাসপাতালের ফার্মেসির বিষয়ে একটি ত্রুটি ছিল। ফার্মেসির লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছিল। রিনিউ (নবায়ন) করা হয়নি। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের বিষয়টি আমার নলেজেই নেই, ধারণায় নেই। এটা কীভাবে আসল আমরা জানি না। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ থাকার প্রশ্নই ওঠে না। আমরা অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে রোগীদের জন্য ওষুধ ব্যবহার করি।